________________
প্রশ্নকর্তা ঃ এটা কি মানসিক সংঘাত নয় ?
দাদাশ্রী ঃ সমস্ত মানসিক সংঘাত সূক্ষ্ম সংঘাতের মধ্যে পড়ে। প্রশ্নকর্তা ঃ তাহলে সূক্ষ্ম আর সূক্ষ্মতর সংঘাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ? দাদাশ্রী ঃ সমস্ত সূক্ষ্মতর সংঘাত মনের স্তরের উপরে সংঘটিত হয়। প্রশ্নকর্তা ঃ তাহলে সূক্ষ্ম সংঘাতের সাথে কি সূক্ষ্মতর সংঘাত-এ থাকে? দাদাশ্রী ঃ সেটা জানার প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র জেনে রাখুন যে সূক্ষ্ম আলাদা আর সূক্ষ্মতর আলাদা। সূক্ষ্মতম হল একেবারে সর্বশেষ স্তর।
প্রশ্নকর্তা ঃ একবার আপনি সৎসঙ্গে বলেছিলেন যে যদি আমরা ‘চন্দুলাল’ (শরীরকে দেওয়া নাম)-এর সাথে তন্ময়াকার হয়ে যাই তাহলে সেটাই সূক্ষ্মতম সংঘাত।
প্রশ্নকর্তা ঃ হ্যাঁ, সূক্ষ্মতম সংঘাত। এইগুলির লোপ করতে হবে। অসতর্কভাবে আপনি একাত্ম হয়ে যান এবং পরে বুঝতে পারেন যে আপনি ভুল করেছেন। প্রশ্নকর্তা ঃ তার মানে সংঘাত এড়াতে প্রতিক্রমণ কি একমাত্র উপায়, না কি আর অন্য কিছু আছে?
দাদাশ্রী ঃ আর অন্য কোন অস্ত্র নেই। এই নয় কলম (দাদার ন’টি অমূল্য রত্ন) যা আমি আপনাকে দিয়েছি, তা সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিক্রমণ। আর কোন অস্ত্র নেই। এই জগতে প্রতিক্রমণ ছাড়া অন্য কোন হাতিয়ার নেই। এটাই চরম হাতিয়ার। এই জগৎ উদ্ভূত হয়েছে অতিক্রমণ (আক্রমণ) থেকে। তাই প্রতিক্রমণ-ই এর প্রতিষেধক।
প্রশ্নকর্তা : এটা বিস্ময়কর। আপনার সমস্ত উপদেশ : ‘যা ঘটছে তা ন্যায়’, ‘ভুল তার যে ভুগছে....ইত্যাদি অসাধারন এবং অলৌকিক। আর যখন আমরা দাদাকে সাক্ষী রেখে প্রতিক্রমণ করি তখন তার স্পন্দন অন্য ব্যক্তির কাছে সত্যিই পৌঁছায়।
দাদাশ্রী ঃ হ্যাঁ, তা ঠিক। স্পন্দন তৎক্ষণাৎ-ই তার কাছে পৌঁছে যায় এবং তা ফলপ্রসূ। তারা অভূতপূর্ব ফল দেয়। আমরা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারি যে অন্য ব্যক্তির উপর এর প্রভাব পড়েছে।
প্রশ্নকর্তা ঃ কিন্তু দাদা, প্রতিক্রমণ তৎক্ষণাৎ হয়, সেই মুহূর্তে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর দাদা! দাদার কৃপা অদ্ভূত!
দাদাশ্রী ঃ হ্যাঁ, এটা বিস্ময়কর। মোটের উপর এটা তো বৈজ্ঞানিক বস্তু । জয় সৎ চিৎ আনন্দ
[ ২৮ ]