________________
সংঘাত নিয়ে যায় উন্নতির পথে প্রশ্নকর্তাঃ যদি আমরা সংঘাতকে আধ্যাত্মিক উন্নতির সহায়ক ভাবি তবেই আমরা এগাতে পারব? | দাদাশ্রী ঃ হা, কিন্তু লােকেরা এভাবে এটা বােঝে না। ভগবান আমাকে উপরে তুলবেন না; সংঘাত তুলবে। সংঘাত আপনাকে একটা উচ্চতায় নিয়ে | যেতে পারবে কিন্তু তারপরে কেবলমাত্র জ্ঞানীঃই (আত্মজ্ঞানী পুরুষ) আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। সংঘর্ষ স্বাভাবিকভাবেই উৎপন্ন হয়। ঠিক যেমনভাবে নদীবক্ষে পড়ে থাকা পাথর জলের ক্ষয়কারী শক্তি দ্বারা মসৃণ এবং গােলাকার হয়ে যায় ঠিক তেমনই সংঘর্ষ এবং সংঘাত আপনার জীবনের ধারালাে অংশগুলােকে মসৃণ করে দেয়।
প্রশ্নকর্তা ও ঘর্ষন আর সংঘর্ষ - এর মধ্যে কি তফাৎ?
দাদাশ্রী ও প্রাণহীন বস্তুর সাথে ধাক্কা হলে ঘর্ষণ, জীবিত প্রাণীর সাথে থাক্কা লাগলে সংঘর্ষ।।
প্রশ্নকর্তা ও সংঘর্ষ হলে আত্মশক্তি বাধাপ্রাপ্ত হয়, নয় কি?
দাদাশ্রী ঃ হ্যা, ঠিক কথা। সংঘর্ষ হলে ক্ষতি নেই, ‘আমি সংঘর্ষ করতে চাই’ এই ভাব ত্যাগ করতে হবে। আপনার সংঘর্ষ করার ভাব থাকবে না, ‘চন্দুলাল’ (নিজের নাম বলতে হবে) করে তাে করুক। আপনার ভাব-ই বাধা দেয়। এমন যেন না হয়।
প্রকৃতি (প্রত্যেকের স্বভাব) সংঘর্যের কারণ প্রশ্নকর্তা ও সংঘর্ষের কারণ কে, জড় অথবা চেতন?
দাদাশ্রীঃ আপনার পূর্বজন্মের সংঘর্ষ-ই আরও সংঘর্ষ তৈরী করে। এটা জড় বা চেতনের প্রশ্ন নয়। আত্মার সাথে এর কোন লেনা-দেনা নেই। পুদগল (মন-বচন -কায়ার যৌথ)-ই সমস্ত সংঘাতের কারণ। যাই হােক, অতীতের সংঘাত-ই আবার নতুন করে সংঘাত সৃষ্টি করে। যাদের অতীত সংঘর্ষমুক্ত তাদের এই অভিজ্ঞতা আর হয় না। সংঘাত-ই সংঘাত টেনে আনে, যা আবার আরও সংঘাতের কারণ হয়; এইভাবেই বাড়তে থাকে।
পুষ্পল মানে কি, এতাে পুরােপুরি জড় নয়, মিশ্রচেতন। একে বিভাবিত পুদ্গল বলা হয়। বিভাবিত মানে বিশেষ ভাব থেকে সৃষ্ট পুদগল, সেই সব
[ ২১ ]