________________
করাে, তখন থেকেই সমকিত শুরু হবে। সংঘর্ষের প্রভাবে শরীরে যা। চোট লাগে তা কেউ ওষুধ দিয়ে সারাতে পারে কিন্তু মনের উপর সংঘর্ষ বা ঘর্ষণজনিত কারণে যে দাগ পড়ে তা কি করে কেউ সারাবে? হাজার জন্মেও তা মােছা যাবে না।
প্রশ্নকর্তা ও সংঘাত কি মন এবং বুদ্ধির ক্ষতি করে?
দাদাশ্রী ঃ শুধুমাত্র মন বা বুদ্ধির উপর নয় সমগ্র অন্তঃকরণের উপর এর প্রভাব পড়ে এমনকি শরীরের উপরেও এর প্রভাব দেখা যায়। অনেক রকমের অসুবিধা সংঘর্ষের ফলে উৎপন্ন হয়।।
প্রশ্নকর্তা ঃ আপনি বলছেন যে আমাদের সমস্ত শক্তি সংঘাতের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। যদি আমরা জাগরূক থাকি তাহলে কি এই শক্তি আবার ফিরে আসবে?
দাদাশ্রী ঃ আপনাকে শক্তি টেনে আনতে হবে না। তারা আছেই, তারা এখন বাড়ছে। যে সমস্ত শক্তি আপনি পূর্বজন্মে সংঘাতের জন্যে হারিয়েছিলেন তা আপনার কাছে ফিরে আসছে। সাবধানে থাকুন যাতে নতুন করে আর কোন সংঘাতে জড়িয়ে না পড়েন। তাহলে আপনার সব শক্তি, এমনকি এখন যা আপনি অর্জন করলেন সমস্তই আবার নষ্ট হয়ে যাবে। সংঘাত না হলে তা ক্রমশঃ বাড়তে থাকবে।
এই জগতে প্রতিশােধের কারণেই সংঘাত তৈরি হয়। এই জগতের মূল কারণ প্রতিহিংসা। যে তার প্রতিহিংসা আর সংঘাত বন্ধ করতে পেরেছে সে মুক্ত। প্রেমে কোন বাধা নেই। যখন বিরুদ্ধাচরণ এবং শত্রুতা চলে যায় তখন প্রেম আসে।
সাধারণ জ্ঞান (commonsense) - সর্বত্র প্রযােজ্য
জাগতিক ব্যবহার শুদ্ধ করার জন্য কি প্রয়ােজন? শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান সম্পূর্ণভাবে থাকা দরকার। একজনকে অটল, ঠান্ডা-মস্তিষ্কসম্পন্ন এবং সহানুভূতিশীল হতে হবে। সর্বোপরি তার সাধারণজ্ঞান থাকা প্রয়ােজন। সাধারন জ্ঞানের সংজ্ঞা-ই হচ্ছে যে এটা সর্বত্র প্রযােজ্য। কারাের যদি সাধারণজ্ঞানের সাথে আত্মজ্ঞানও থাকে তাহলে তিনি দীপ্তিময় হয়ে উঠবেন। প্রশ্নকর্তা ও সাধারণ জ্ঞান কেমন করে আসে ?
[ ১৯ ]