________________
দেন তার নিজের এগুলাের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।
আপনি কত নিষ্ঠার সাথে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলেন। তার কারণ আপনি এই নিয়মগুলাে মেনে চলার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনার অহংকার কেন আপনাকে এই নিয়মগুলাে উপেক্ষা করতে বলছে না? কারণ আপনি বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারছেন যে নিয়মগুলাে অমান্য করলে আপনি আহত হতে পারেন এমনকি মারাও যেতে পারেন। এর ফল আপনি ইন্দ্রিয় দ্বারা সরাসরি অনুভব করতে পারেন। কিন্তু কোন ব্যাক্তির সাথে সংঘাতে যাওয়ার মারাত্মক পরিণাম আপনার বুদ্ধি আপনাকে বােঝাতে পারে না কারণ এটা ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করা যায় না। এটা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ব্যাপার এবং যে ক্ষতি এটা করে
| প্রথমবার ব্যক্ত হল এই সূত্র ১৯৫১তে আমার কাছে কাজ করত এমন একজন জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পাওয়ার রাস্তা জানার জন্য আমার কাছে এসেছিল। আমি তাকে শুধুমাত্র এই একটি নিয়মই দিয়েছিলাম, তাকে বলেছিলাম, সংঘাত পরিহার করাে।
একদিন আমি একটা আধ্যাত্মিক বই পড়ছিলাম, তখন সে আমার কাছে এল। সে আমাকে বলল তাকে কিছু আধ্যাত্মিক জ্ঞান দিতে। আমি তাকে বললাম, আমি তােমাকে কি দেব? তুমি সবার সাথে ঝগড়া করে বেড়াও। এমনকি তুমি মারামারি পর্যন্ত করাে। সে বােকার মতাে আমাদের প্রতিষ্ঠানের টাকা নয়ছয় করত। সে বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়তাে আর তার উপরে কর্তৃপক্ষের সাথে ঝগড়া করতাে। আমি তার সম্পর্কে সব কিছু জানতাম। তা সত্ত্বেও সে। নাছােড়বান্দা হয়ে বারবার অনুরােধ করতে লাগল, ‘দাদাজী, দয়া করে আমাকেও হিসাবের মধ্যে রাখুন। আপনি আশ-পাশের সবাইকে যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রদান করেন তার কিছু আমাকেও দিন। আমি দ্বিধান্বিত হয়ে তাকে বললাম, ‘এই জ্ঞান তােমার কি কাজে লাগবে? তুমি তাে পাল্টাবে না। এ সত্ত্বেও তুমি লােকের সাথে ঝগড়া করে বেড়াবে!’
সে দশটাকার ট্রেনভাড়া দিত না কিন্তু অন্যদের চা-জলখাবারে কুড়ি টাকা খরচ করত। আমাদের ব্যবসার দশ টাকা নেট লােকসান হত। এমনই ছিল তার ‘মহানতা’। যখন সে আসতাে আমি তাকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানালে
| [৭]