________________
দাদাশ্রী ঃ আমার দায়িত্ব এইটুকুই যে আমি ওকে বােঝাবাে। তাতে ও না বুঝলে তার আর কোন উপায় নেই। তারপর তুমি এটুকুই বলবে, ‘হে দাদা ভগবান! একে সদবুদ্ধি দিন। এটা তাে বলতে হবে। তাকে মাঝখানে ঝুলিয়ে রাখতে পারাে না। এটা কোন গাল-গল্প নয়। এটা দাদাজীর ‘এডজাস্টমেন্ট’-এর বিজ্ঞান, আশ্চর্যজনক এই ‘এডজাস্টমেন্ট। আর যেখানে ‘এডজাস্ট’ হতে পারাে না সেখানে ওর স্বাদ তাে তুমি নিশ্চয়ই পাও? ‘ডিসএডজাস্টমেন্ট’-ই মূখত। কারণ ও মনে করে যে আমি আমার স্বামীত্ব ছাড়ব না আর আমার কথামত-ই সব চলবে। এরকম মেনে চললে সারা জীবন ক্ষুধায় কষ্ট পাবে আর একদিন থালায় ‘পয়জন’ (বিষ) এসে পড়বে! সহজরূপে যা চলছে তাকে চলতে দাও! বাতাবরণ-ই কেমন?! এইজন্যে স্ত্রী যখন বলবে যে, তুমি নালায়েক’, তখন বলবে ‘খুব ভালাে।
কুটিল প্রকৃতির লােকের সাথে এডজাস্ট হয়ে যাও প্রশ্নকর্তা ও ব্যবহার তাে তাকেই বলব যে এডজাস্ট হয়ে যায় যাতে প্রতিবেশীও বলে যে সব বাড়িতে ঝগড়া হয়, কিন্তু এই বাড়িতে ঝগড়া হয় না। এর ব্যবহার সর্বোত্তম বলা যায়। যার সঙ্গ পছন্দ হয় না, সেখানেই শক্তি বিকশিত করতে হবে। যেখানে অনুকূল সেখানে তাে শক্তি আছেই। প্রতিকূল ভাবা - সে তাে দুর্বলতা। আমার সবার সাথে অনুকূলতা থাকে কেন? যত এডজাস্টমেন্ট নেবে তত শক্তি বাড়বে আর দুর্বলতা নষ্ট হবে। সত্যিকারের বােধ তাে তখন আসবে যখন সমস্ত উল্টো বােধে তালা লেগে যাবে।
নরম স্বভাবের লােকের সাথে তাে সবাই এডজাস্ট হবে কিন্তু কুটিল, কঠোর, গরম মেজাজের লােকের সাথে এডজাস্ট হতে পারলে কাজে আসবে। যতই নির্লজ্জ মানুষ হােক না কেন তার সাথে যদি মাথা গরম
করে এডজাল্ট হতে পারা যায় তাহলে তা কাজের। রেগে গেলে চলবে । জগতের কোন বস্তুই তােমার সাথে ‘ফিট’ হবে না। তুমি যদি সবার সাথে “ফিট হয়ে যাও তাহলে জগৎ সুন্দর আর সবাইকে ‘ফিট’ করানাের চেষ্টা করতে গেলে জগৎ বাঁকা। সুতরাং এডজাস্ট এভরিহােয়্যার’! তুমি যদি এতে ‘ফিট’ হয়ে যাও তাে কোন অসুবিধা নেই।
[ ১৩ ]।