Book Title: Adjust Every Where
Author(s): Dada Bhagwan
Publisher: Dada Bhagwan Aradhana Trust

View full book text
Previous | Next

Page 17
________________ ডোন্ট সী ল, সেল্ (নিয়ম দেখতে যেও না, মিটিয়ে নাও) সামনের লোক যদি ট্যাড়া হয় তো জ্ঞানী তার সাথেও এডজাস্ট হয়ে যান। ‘জ্ঞানীপরুষ’কে দেখে চললে সব রকমের এডজাস্টমেন্ট নেওয়া শিখে যাবে। এর পিছনের বিজ্ঞান বলছে যে বীতরাগ হও, রাগ-দ্বেষ কোরো না। এ তো ভিতরে কিছুটা আসক্তি থেকে যায় সেইজন্যে মার খেতে হয়। ব্যবহারে যে একতরফা নিস্পৃহ হয়ে গেছে তাকে ট্যাড়া বলে। তোমার প্রয়োজন থাকলে সামনের জন ট্যাড়া হলেও তাকে মানিয়ে নিতে হবে। স্টেশনে কুলীর দরকার আর সে হ্যাঁ-না করছে, তাহলেও তাকে চার-আনা বেশী দিয়ে রাজী করাতে হবে। রাজী করাতে না পারলে ব্যাগ নিজেকেই বইতে হবে! ডোন্ট সী ল’জ্, প্লীজ্ সে। সামনের লোককে মানিয়ে চলার জন্যে বলা, ‘আপনি এই রকম করুন, ওইরকম করুন' এসব বলার সময়ই কোথায়? সামনের জনের শত ভুল হলেও তোমাকে তো ‘আমার-ই ভুল’ বলে এগিয়ে যেতে হবে। এই কালে ল’(নিয়ম) কি দেখা হয় ? এ তো শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। যেখানেই দেখো সেখানেই দৌড়ঝাঁপ আর ব্যস্ততা! লোক তিতিবিরক্ত হয়ে গেছে। ঘরে গেলে স্ত্রী-র চেঁচামেচি, বাচ্চার নালিশ, চাকরীতে গেলে সেঠজীর নালিশ, রেলে গেলে ভীড়ের ধাক্কা খেতে হয়। কোথাও শান্তি নেই। শান্তি তো দরকার না? কেউ যদি ঝগড়া করে তো তার উপর দয়া হওয়া উচিৎ যে, ‘আরে, এর কত অশান্তি যে ঝগড়া শুরু করেছে।' যারা আকুল হয়, তারা সবাই দুর্বল হয়। নালিশ? না, ‘এডজাস্ট’ ব্যাপারটা এইরকম যে ঘরেও ‘এডজাস্ট’ হতে জানা চাই। তুমি সৎসঙ্গ থেকে দেরীতে ঘরে ফিরলে ঘরের লোক কি বলবে? ‘একটু-আধটু সময়ের খেয়াল তো রাখা চাই?' তখন আমি তাড়াতাড়ি বাড়ী ফিরলে অসুবিধা কোথায়? বলদ না চললে তেলী তাকে অঙ্কুশের খোঁচা মারে; তার বদলে যদি ও আগে চলতে থাকে তো তেলী ওকে খোঁচা মারবে না! নইলে তেলী আরও খোঁচা মারবে আর তাকে চলতে হবে। চলতে তো হবে, না কি? [ ১৪ ]

Loading...

Page Navigation
1 ... 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40