________________
হয় না কিন্তু অন্তরে সব শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী জন্মের যা কিছু প্রস্তুতি ছিল তার থেকে কিছু খরচ হয়ে যায়। আর বেশী খরচ হয়ে গেলে কি হবে? এখানে মানুষ হয়ে রুটি খেতো আর ওখানে (জানোয়ার হয়ে) ঘাস খেতে হবে। এই রুটি ছেড়ে ঘাস খেতে যাওয়া, সেটা কি ভালো বলবে?
সারাজগতে কোন মানুষ ক্রোধকে জয় করতে পারবে না। ক্রোধের দুই রূপ, এক কঢ়াপা (জ্বলন) আর দ্বিতীয় অজম্পা (অশান্তি রূপে)। যে সমস্ত লোক ক্রোধকে জয় করে তারা কঢ়াপাকে জয় করে। এতে এরকম হয় যে একদিকে চেপে রাখতে গেলে অন্যদিক বাড়ে আর বলে ‘আমি ক্রোধকে জয় করেছি, তো তখন মান বাড়ে। বাস্তবিক তো ক্রোধকে সম্পূর্ণ জেতা যায় না। দৃশ্য (যে ক্রোধ দেখা যায়) ক্রোধকে জয় করেছি, এরকম বলা যায়।
তন্ত (রেশ), সেটাই ক্রোধ
যে ক্রোধে তন্ত (সূত্র বা রেশ থেকে যাওয়া) থাকে, তাকেই ক্রোধ বলে। উদাহরণস্বরূপ, স্বামী-স্ত্রী রাতে খুব ঝগড়া করল, ক্রোধাগ্নি ধকধক করে জ্বলল, সারা রাত দুজনে জেগে শুয়ে থাকল। সকালে স্ত্রী চায়ের কাপ ঠক্ করে রাখল, স্বামী বুঝে যাবে এখনও তন্ত আছে! এটাই ক্রোধ। এখন এই তন্ত যতটুকু সময়ের জন্যে হোক না কেন! আরে, কোন কোন লোকের তো সারাজীবন থেকে যায়! বাবা ছেলের মুখ দেখে না আর ছেলেও বাবার মুখ দেখে না! ক্রোধের তন্ত তো মুখের চেহারা দেখলেই বোঝা যায়।
তন্ত তো এমনই একটা জিনিষ যে পনেরো বছর আগে কেউ তোমাকে অপমান করেছে আর ওই ব্যক্তির সাথে পনেরো বছর তোমার দেখা হয় নি কিন্তু আজ তার সাথে দেখা হতেই সব মনে পড়ে গেল, ওটাই তন্ত। আর তন্ত কারোর-ই যায় না। বড়-বড় সাধু-মহারাজও তত্তওয়ালাই হন। রাতে যদি কিছু হাসি-ঠাট্টা করেছ তো পনেরো দিন তোমার সাথে কথা বলবে না, এমনই তন্ত !
[ ১২ ]