Book Title: Anger Benagali
Author(s): Dada Bhagwan
Publisher: Dada Bhagwan Aradhana Trust

View full book text
Previous | Next

Page 38
________________ | থেকে বেঁচে আছে! এইজন্যে ওদের আহার বন্ধ করে দাও। এরকম বিচার তাে কেউ করেই না আর সবাই জোর করে এদের বের করতে থাকে। এই চারটি এমনিই চলে যাবে এমন নয়। ও তাে যখন আত্মা বাইরে বেরিয়ে আসে তখন ভিতরের সবকিছু ঝাড়া-মােছা করে, তারপরে বেরােয়। ওদের হিংসক মার এর প্রয়ােজন নেই, ওদের তাে অহিংসক মার চাই। | আচাৰ্য শিষ্যকে কখন ধমকান? ক্রোধ এলে তখন। সেইসময় যদি কেউ বলে, “মহারাজ, একে কেন ধমকাচ্ছেন?’ তখন মহারাজ বলেন, “ও তাে ধমক খাওয়ারই যােগ্য। ব্যস, তাহলে তাে হয়ে গেল শেষ। এরকম বলা সেটাই ক্রোধের আহার। ক্রোধ করে তার রক্ষণ করা, সেটাই ওর অহার। এই ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ যদি তিন বছর পর্যন্ত আহার না পায় তাে নিজেরাই পালিয়ে যাবে। আমাকে বলতেই হবে না। কারণ প্রত্যেকটি বস্তু নিজের নিজের আহার দ্বারা জীবিত থাকে আর সংসারের লােক কি করে ? প্রত্যেকদিন ক্রোধ-মান-মায়া-লােভকে খাবার দিতে থাকে। রােজ আহার করায় আর ফের এরা হৃষ্ট-পুষ্ট হয়ে ঘুরতে থাকে। বাচ্চাদের মারে, খুব রেগে গিয়ে মারধাের করে, তখন স্ত্রী বলে, ‘বেচারা বাচ্চাদের এত মারলে কেন?’ তখন বলে, তুমি বুঝবে না, এরা মার খাওয়ারই যােগ্য। এতে ক্রোধ বুঝে যায়, ‘আরে বাহ্, আমাকে আহার দিল! ভুল হয়েছে। এটা বুঝলাে না আর মারার মত এরকম অভিপ্রায় দিল, সেইজন্যে এ আমাকে খাবার দিচ্ছে। একে আহার দেওয়া বলে। আমরা ক্রোধকে এনকারেজ (উৎসাহিত) করলে, তাকে ভাল মনে করলে ওকে খাবার দেওয়া হল এরকম বলা যায়। ক্রোধকে, ক্রোধ করা খারাপ’ এরকম মনে করলে তাকে খাবার দেওয়া হল না বলতে হবে। ক্রোধের পক্ষপাত করলে, তার পক্ষ নিলে, সে খাবার পেয়ে গেল। আহার থেকেই তাে ও বেঁচে থাকছে। লােকে তাে ওর পক্ষ নেয়, কি না? | ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ, কাউকে আমি রক্ষণ দিই নি। ক্রোধ হয়ে গেছে আর তখন কেউ বলে যে, এইরকম ক্রোধ কেন করছাে?' তখন আমি বলে দিই, এই ক্রোধ অতি খারাপ বস্তু, আমার দুর্বলতার কারণে হয়ে গেছে। অর্থাৎ আমি রক্ষণ করলাম না। কিন্তু লােকেরা রক্ষণ করে। [ ৩৩ ]

Loading...

Page Navigation
1 ... 36 37 38 39 40 41 42