________________
পীড়িত করে) বলবে আর অজপাতে (যে নিয়ে ভেতরে পীড়িত থাকে) নিজে একলাই ভিতরে ভিতরে জ্বলতে থাকে, কিন্তু তন্ত তাে দুইয়ের ক্ষেত্রেই থাকে। আর উগ্রতা তাে অন্য বস্তু।
গুমরানাে, সহ্য করা, তাও ক্রোধ ক্রোধভরা বাণী না বললে সামনের জন আঘাত পায় না। মুখে বলা, শুধুমাত্র তাকেই ক্রোধ বলে এরকম নয়। ভিতরে ক্লেশ হতে থাকে তাকেও। ক্রোধ বলে। আর একে সহ্য করা তাে ডবল (দ্বিগুণ) ক্রোধ। সহ্য করা মানে চেপে রাখা। ও তাে যখন একদিন স্প্রিং লাফিয়ে উঠবে তখন বােঝা যাবে। সহ্য কেন করতে হবে? এর তাে জ্ঞান দিয়ে সমাধান করতে হবে।
ক্রোধে বড় হিংসা বুদ্ধি ইমােশনাল হয়, জ্ঞান মােশনে থাকে। যেমন ট্রেন মােশনে চলে, যদি ইমােশনাল হয়ে যায় তাে ?
প্রশ্নকর্তা ঃ অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়। | দাদাশ্রী ঃ এরকম-এরকম করে চলে তাে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যাবে। এইভাবেই মানুষ যখন ইমােশনাল হয় যায় তখন ভিতরে অনেক জীব মারা যায়। ক্রোধ হয়েছে কি কত রকমের ছােট ছােট জীব মরে শেষ হয়ে যায়। তার উপর আবার স্বয়ং দাবী করে, “আমি তাে অহিংসা ধর্ম পালন করি, জীব-হিংসা তাে করি-ইনা। আরে, কিন্তু ক্রোধ থেকে তাে অসংখ্য জীব-ইমারা যায়, ইমােশনাল হয়ে।।
ক্রোধকে এইভাবে জয় করা যায় দ্রব্য অর্থাৎ বাইরের ব্যবহার পাল্টায় না কিন্তু যদি ভাব পাল্টায় তাে অনেক হল। কেউ যদি বলে যে ক্রোধ বন্ধ করতে চাই, তাে আজই ক্রোধ বন্ধ হয়ে যাবে না। ক্রোধকে তাে চিনতে হবে যে ক্রোধ কি? কেন উৎপন্ন হয় ? ওর জন্ম কিসের আধারে হয় ? ওর মা-কে? বাপ কে? সবকিছু জানার পর ক্রোধকে চেনা যাবে।।
[ ৩১ ]