________________
শপার্শ্বনাথ
যুদ্ধে আমার একটুও ভয় হয় না, আমার কাছে তাহা খেলার মত। আপনি এইখানে থাকুন, আমাকে যাইতে দিন”।
পার্শ্বকুমারের একান্ত ইচ্ছা দেখিয়া রাজা অশ্বসেন তাহার কথায় সম্মত হইলেন এবং তাহাকে যুদ্ধে যাইতে অনুমতি দিলেন।
শুভ মুহুর্তে পার্শ্বকুমার সেনার সহিত কুশস্থলের দিকে যাত্রা করিলেন। সেখানে উপস্থিত হইয়া তিনি রাজনীতি অনুসারে যবন রাজার কাছে দূত পাঠাইলেন—
“হে যবনরাজ—প্রসেনজিত আমার পিতার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছেন। অতএব তুমি ইহাকে আক্রমণ করিও না ; পিতৃদেব নিজেই যুদ্ধে আসিতেছিলেন, কিন্তু আমি অতিকষ্টে তাঁহাকে বিরত করিয়া নিজেই আসিয়াছি। অতএব আমি তােমাকে সূচনা দিতেছি যে, তুমি নিজ রাজ্যে ফিরিয়া যাও। তাহা করিলে আমি তােমার অপরাধ ক্ষমা করিয়া দিব।”
পার্শ্বকুমার যবন রাজার হিতের জন্যই এই কথা বলিয়াছিলেন, কিন্তু সে গর্বিত হইয়া দূতকে উত্তর দিল, “যদি পার্শ্বকুমার জীবিত থাকিতে চান, তাহা হইলে তাহারই ফিরিয়া যাওয়া উচিৎ।”
| যবন রাজাকে এই উত্তর দিতে শুনিয়া তাহার এক বৃদ্ধ মন্ত্রী তাহাকে বলিল, “যাহাই বলুন, কিন্তু যুদ্ধে তাঁহার সম্মুখে আমরা দাড়াইতে পারিব না। তাহা ছাড়াও আমাদের এ যুদ্ধ ন্যায়সঙ্গত। Shree Sudharmaswami Gyanbhandar-Umara, Surat
www.umaragyanbhandar.com