________________
পার্শ্বনাথ। এদিকে ধরনেন্দ্র (নাগরাজ) এই উৎপাত দেখিয়া আর থাকিতে পারিল না, সে নিজে আসিয়া এই উৎপাত বন্ধ করিল।
পার্শ্বকুমার এখনও সেই অবস্থাতেই দণ্ডায়মান তাহার নিকট ধরনেন্দ্র ও মেঘমালী উভয়েই সমান, অর্থাৎ শত্ৰুমিত্র উভয়েই সমান।
যাহারা মহৎ এবং শক্ৰমিত্রতে ভেদ দেখে না তাহারা ধন্য।
পার্শ্বকুমার এই ঘটনার অল্প কয়েক দিন পরেই “কেবলজ্ঞান” অর্থাৎ পূর্ণ ও প্রকৃত জ্ঞান লাভ করিলেন। তিনি “শ্ৰী পার্শ্বনাথ” নামে বিখ্যাত হইলেন। | তিনি এখন লােককে পবিত্র জীবন যাপন করিতে উপদেশ দিতে আরম্ভ করিলেন। তাঁহার উপদেশে অনেক নরনারী পবিত্র জীবন যাপন করিতে আরম্ভ করিল। তাহাদের একটী সংঘ স্থাপিত হইল। এই সংঘে সাধু, সাধ্বী, শ্রাবক, শ্ৰাবিকা এই চারিটী পদ আছে।
সংসার ত্যাগী বিরাগীরা, যাহারা অহিংসা, সত্য, অস্তেয় ও ত্যাগ এই চার মহাব্রত পূর্ণরূপে পালন করে, তাহারা সাধু বা সাধ্বী বলিয়া অভিহিত হয়।
যাহারা গৃহস্থধৰ্ম্ম পালন করতঃ শ্রাবকের বারটী ব্রত পালন করে, যাহারা নিজকে আদিদেব গােত্রী ভূত বলিয়া পরিচয় দেয়, তাহাদিগকে শ্রাবক বা শ্ৰাবিক বলে।
পার্শ্বনাথ এইরূপে সংঘ বা তীর্থ স্থাপন করিলেন বলিয়া তিনি তীর্থঙ্কর হইলেন।
Shree Sudharmaswami Gyanbhandar-Umara, Surat
www.umaragyanbhandar.com