________________
শ্ৰীপার্শ্বনাথ করিতে আসি নাই। আমার কাজ শেষ হইয়াছে, আমি এখন যাত্ৰা করিব।”
| পার্শ্বকুমারের এই উত্তর শুনিয়া, প্রভাবতীর মনে অত্যন্ত দুঃখ হইল। তিনি অত্যন্ত চিন্তায় পড়িলেন, এবং উপায় ভাবিতে লাগিলেন।
প্রসেনজিতও অত্যন্ত চিন্তিত হইয়া, অতঃপর কি করা যায়, তাহাই ভাবিতে লাগিলেন।
অবশেষে তিনি স্থির করিলেন,—“পার্শ্বকুমার নিজে এই প্রস্তাবে স্বীকৃত হইবেন না কিন্তু রাজা অশ্বসেনের আদেশে তিনি হয়ত ইহা স্বীকার করিয়া লইবেন, সুতরাং তাহার সহিত দেখা করিবার জন্য আমার পার্শ্বকুমারের সঙ্গে কাশী যাওয়া দরকার।”
তিনি পাশ্বকুমারকে কহিলেন—“রাজা অশ্বসেনকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতে আমি আপনার সঙ্গে কাশী যাইতে চাই।”
পার্শ্বকুমার ইহাতে প্রসন্নচিত্তে অনুমতি দিলেন। রাজা প্রসেনজিত প্রভাৰতীকে সঙ্গে নিয়া পাশ্বকুমারের সহিত কাশী যাত্রা করিলেন।
রাজা প্রসেনজিত কাশী পেীছিয়া অশ্বসেনকে নমস্কার জানাইয়া তাহার প্রার্থনা জানাইলেন।
অশ্বসেন তাহার উত্তরে বলিলেন—“পার্শ্বকুমার বাল্যকাল হইতেই বৈরাগ্যপ্রিয়, এই জন্য তাহার জীবনের লক্ষ্য আমরা এখনও জানিতে পারি নাই। তবে আমাদের বড়ই ইচ্ছা যে পার্শ্বকুমারের সঙ্গে কোন সুলক্ষণা যােগা কন্যার বিবাহ হউক।” Shree Sudharmaswami Gyanbhandar-Umara, Surat
www.umaragyanbhandar.com