________________
সেবা – পরােপকার
কোনও ধরণের সেবা নেই, যেখানে স্ব-এর সেবা নেই সে সবই এক ধরণের সামাজিক ভাষণ ! আর নিজের উপর, স্ব-এর উপর ভয়ঙ্করভাবে (অহংকার-এর) নেশা চড়ায়। জগতের কোনও ধরণের সেবা যেখানে হয় সেখানে ধর্ম থাকে। জগতের সেবা না হলে স্ব-এর সেবা করাে। যে স্বএর সেবা করে সে জগতের সেবা করার চেয়েও ভালাে কাজ করে। কারণ যে স্ব-এর সেবা করে সে কাউকে দুঃখ দেয় না !
প্রশ্নকর্তা: কিন্তু ‘স্ব’-এর সেবা করা খেয়ালে আসা চাই তাে! দাদাশ্রী: এটা খেয়ালে আসা সহজ নয়। প্রশ্নকর্তা : তাে কিভাবে করবাে ?
দাদাশ্রী: এতাে স্ব-এর সেবা করছেন এমন কোনও জ্ঞানীপুরুষকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘সাহেব, আপনি পরের সেবা করছেন কি স্ব-এর ? তাতে সাহেব যদি বলেন যে, আমি স্ব-এর সেবা করছি’ তাহলে তাঁকে বলবে, আমাকেও এর রাস্তা দেখান !
|
‘স্ব’-এর সেবার লক্ষণ!
প্রশ্নকর্তা : ‘স্ব’-এর সেবার লক্ষণ কি ?
দাদাশী: ‘স্ব’-এর সেবার সর্বপ্রথম লক্ষণ কাউকে দুঃখ না দেওয়া। এতেই সমস্ত কিছু এসে যায়। এতে অ-ব্রাহ্মচর্য করে না। অ-ব্রহ্মচর্য করা অর্থাৎ কাউকে দুঃখ দেওয়ার সমান হয়ে যায়। যদি এমন ধরে নাও | যে সহমতের ভিত্তিতে অ-ব্রহ্মচর্য করছে তাে এতে কত জীব মারা যায়। সেইজন্যে এ দুঃখ দেওয়ার সমান। তাই এতে সেবাই বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া মিথ্যে বলে না, চুরি করে না, হিংসা করে না, পয়সা জমায় না। পরিগ্রহ করা, পয়সা জমা করা – এ হিংসাই। তাই অন্যকে দুঃখ দেয়। স্ব-এর সেবাতে সব কিছু এসে যায়।
প্রশ্নকর্তা: ‘স্ব’-এর সেবার অন্যান্য লক্ষণ কি কি ? কখন বলা যায় যে ‘স্ব’-এর সেবা করছে ?