________________
সেবা – পরোপকার
লক্ষ্মী চাও ? দুর্নীতির লক্ষ্মী চাও না তো ? তাহলে ভালো! যা ফ্রী অফ কস্ট পাওয়া যায় তা কত ভালো !
২৩
সেইজন্য সেবাভাব নিশ্চিত করো, মনুষ্যমাত্রের সেবা। যদি তুমি চিকিৎসালয় করো তাহলে তুমি যে বিদ্যা জানো তা সেবাভাবে ব্যবহার করো – এটাই তোমার হেতু হওয়া উচিৎ। এর ফলস্বরূপ অন্যসব বস্তু ফ্রী অফ কস্ট পাবে আর পরে কোনোদিনও লক্ষ্মী কম পড়বে না। আর যে লক্ষ্মীর জন্যে করতে গেছে তার লোকসান হয়েছে। হ্যাঁ, যদি লক্ষ্মীর জন্যে কারখানা খোলো তাহলে বাই-প্রোডাকশনে তো কিছু থাকলো না ! কারণ লক্ষ্মীই বাই-প্রোডাকক্ট, বাই-প্রোডাকশনের! সেইজন্যে তুমি প্রোডাকশন স্থির করবে তাহলে বাই-প্রোডাকশন ফ্রী অফ কস্ট পাবে ।
জগৎ-কল্যাণই প্রোডাকশন্ !
আত্মা প্রাপ্ত করার জন্য যা করতে হয় তা প্রোডাকশন; এর কারণে বাই-প্রোডাক্ট পাওয়া যায় আর সংসারের সমস্ত প্রয়োজন পুরো হয়ে যায় । আমি তো আমার একটাই প্রোডাকশন রেখেছি, ‘জগৎ পরম শান্তি পায় আর অনেকে মোক্ষ লাভ করে।' এই আমার প্রোডাকশন আর এর কারণে আমি বাই-প্রোডাকশন পেয়েই যাচ্ছি। এই যে চা-জল আমি তোমার থেকে আলাদা ধরণের পাই, এর কারণ কি ? তোমার থেকে আমার প্রোডাকশন উচ্চস্তরের। তোমার প্রোডাকশন যদি এরকম উচ্চস্তরের হয় তাহলে বাই-প্রোডাকশনও উচ্চস্তরের আসবে। প্রত্যেকটা কাজের হেতু থাকে। হেতু যদি সেবাভাব হয় তো লক্ষ্মী ‘বাই-প্রোডাক্ট’ আসবেই।
পরোক্ষে ভগবানের সেবা
অন্য সব প্রোডাকশন বাই-প্রোডাক্টই হয়। এতে তোমার প্রয়োজনের সমস্ত বস্তু পেয়েই যাবে আর ইজিলি পাবে। দ্যাখো, এ প্রোডাকশন পয়সার করেছে, তাই আজ পয়সা ইজিলি পাচ্ছে না। দৌড়াদৌড়ি করে, হড়বড় হড়বড় করে, এত ঘোরাঘুরি করে আর মুখ এমন দেখায় যেন মুখে এরণ্ড-র তেল মেখে ঘুরছে! ঘরে ভালো খাওয়া