________________
সেবা – পরোপকার
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু ভৌতিক সমৃদ্ধি ছাড়া কিভাবে চলবে ?
দাদাশ্রী : ভৌতিক সমৃদ্ধি এই দুনিয়াতে কেউ সত্যিই করেছে কি ? সমস্ত লোক ভৌতিক সমৃদ্ধির পিছনেই পড়ে আছে। সত্যি সত্যিই কেউ পেয়েছে কি ?
প্রশ্নকর্তা : কেউ কেউ পায়, সবাই পায় না ৷
দাদাশ্রী : এই ক্ষমতা মানুষের হাতে নেই, যেখানে ক্ষমতা নেই সেখানে ব্যর্থ হাঁকাহাঁকি করার মানে কি ? মীনিংলেস্ !
প্রশ্নকর্তা : যতক্ষণ পর্যন্ত এর কোনও কামনা আছে ততক্ষণ পর্যন্ত আধ্যাত্মিকতাতে কিভাবে যাবে ?
দাদাশ্রী : হ্যাঁ, কামনা হয় তা ঠিক। কামনা হয়, কিন্তু তোমার হাতে এর সত্তা নেই ।
প্রশ্নকর্তা : এই কামনা কিভাবে যাবে ?
দাদাশ্রী : কামনার ধন পরে আসবে। তোমার এর জন্যে মাথাব্যাথা করার দরকার নেই। তুমি আধ্যাত্মিক-এর জন্যে করো। এই ভৌতিক সমৃদ্ধি তো বাই-প্রোডাক্ট। তুমি আধ্যাত্মিক-এর প্রোডাকশন করো, এক দিশাতে যাও আর যদি আধ্যাত্মিক-এর প্রোডাকশন করো, তাহলে ভৌতিক সমৃদ্ধি বাই-প্রোডাক্ট হিসাবে তুমি ফ্রী অফ কস্ট পাবে।
প্রশ্নকর্তা : আধ্যাত্মিক দিকে যেতে বলতে কি বোঝাতে চাইছেন ? কিভাবে যাবো ?
দাদাশ্রী : এটা বুঝতে পেরেছো কি যে আধ্যাত্মিক অর্থাৎ আধ্যাত্মিকএর প্রোডাকশন যদি তুমি করো তো ভৌতিক বাই-প্রোডাক্ট; এটা তুমি বুঝেছো কি না ?
প্রশ্নকর্তা : আপনি বলেছেন তাই মেনে নিচ্ছি কিন্তু এ আমি বুঝতে পারিনি ।
দাদাশ্রী : এটা মেনে নাও তো এই সবই বাই-প্রোডাক্ট। বাইপ্রোডাক্ট অর্থাৎ ফ্রী অফ কস্ট। এই সংসারের বিনাশী সুখ সবই বাইপ্রোডাক্ট হিসাবে পাওয়া যায়। আধ্যাত্মিক সুখ প্রাপ্ত করার রাস্তায় যেতে যেতে বাই প্রোডাকশনে পাওয়া যায় এ সব ।