________________
সেবা – পরােপকার
কেমন হয় তাও জেনে নেবে। যদি শত্রু ভালাে লাগে তাে সেই সংযােগ কিভাবে আসে তা যদি জিজ্ঞাসা করাে তাহলে আমি তােমাকে বলবাে যে যত চাও তত ধার করে ঘি খাও, যেখানে পছন্দ হয় ঘুরে বেড়াও, তােমার ইচ্ছেমত মজা করাে, তারপরে আগে যা হবে দেখা যাবে! আর পুণ্যরূপী বন্ধু চাই তাে আমি বলবাে যে ভাই, এই গাছেদের কাছ থেকে শিখেনাও। কোনাে গাছ তার ফল নিজে খায় কি ? কোনাে গােলাপ তার ফুল খেয়ে নেয় ? একটু তাে খেয়ে নেয়, নয় কি ? আমরা যখন রাতে থাকিনা তখন খেয়ে নেয় তাে, না কি ? খায় না ?
প্রশ্নকর্তা: না, খায় না।
দাদাশ্রী : এই গাছপালা তাে মানুষকে ফল দেওয়ার জন্য মানুষের সেবায় থাকে, তাহলে এই গাছেরা কি পায় ? এদের গতি উঁচু হয় আর মানুষও এদের হেল্প নিয়ে এগােয়। যদি মনে করাে যে আমি আম খেলাম তাে আমগাছের কি গেলাে ? আর আমরা কি পেলাম ? তুমি আম খেলে, তাতে তােমার আনন্দ হলাে। এর থেকে তােমার মনােবৃত্তি যে বদলালাে তাতে তুমি একশাে টাকার আধ্যাত্মিকতা উপার্জন করলে। আম খেয়েছাে সেইজন্যে এর পাঁচটাকা আমগাছ পায় তােমার থেকে আর পঁচানব্বই টাকা তােমার ভাগে থাকে। অর্থাৎ এরা তােমার ভাগ থেকে পাঁচ টাকা নিয়ে নেয় আর বেচারারা উঁচু গতিতে যায়। আর তােমারও অধােগতি হয়না, তােমার তাে বাড়ে। সেইজন্যে এই গাছেরা বলে যে আমাদের সবকিছু ভােগ করাে, প্রত্যেক জাতের ফুল-ফল ভােগ করাে।
যােগ – উপযােগ পরােপকারার্থে!
যদি এই জগৎ তােমার পছন্দ হয়, জগৎ যদি তােমার ভালাে লাগে, জগতের বস্তু প্রাপ্তির ইচ্ছা থাকে, তাে এটুকু করাে, ‘যােগ-উপযােগ পরােপকারার্থে। যােগ অর্থাৎ মন-বচন-কায়ার যােগআর উপযােগ অর্থাৎ বুদ্ধির ব্যবহার, মনের ব্যবহার, চিত্তের ব্যবহার সমস্ত কিছু অন্যের জন্য