________________
সেবা – পরােপকার
ব্যবহার করাে। আর পরের জন্যে যদি না করে তাে আমাদের লােকেরা শেষ অবধি ঘরের জন্যে ব্যবহার করে তাে! এই কুকুরীদের খাবার কিভাবে জোগাড় হয়ে যায় ? এর বাচ্চাদেরভিতর ভগবান আছেন। সেই বাচ্চাদের এ সেবা করে সেইজন্যে এ সবকিছু পেয়ে যায়। সমস্তজগৎ -এর আধারেই চলছে। এই গাছেদের খাবার কোথা থেকে আসছে ? এই গাছেরা কি কোনাে পুরুষাৰ্থ করেছে ? এরা তাে একটুও ‘ইমােশনাল’ নয়। এরা কোনাে দিন ‘ইমােশনাল হয় ? এরা তাে কোনােদিনও এদিক-সেদিক যায় না। এদের কোনাে দিন এরকম হয় না যে এখান থেকে একমাইল দূরে বিশ্বামিত্রী নদী আছে, সেখানে গিয়ে জল খেয়ে আসি!
নীতি আর পরম্পর ‘অবলাইজিং নেচার’, ব্যস, এটুকুরই শুধু প্রয়ােজন। পরস্পরের উপকার করা, এটুকুই মনুষ্যজীবনের উপলব্ধি ! এই জগতে দু'ধরনের লােকের চিন্তা হয় না, এক জ্ঞানীপুরুষের আর দ্বিতীয় পরােপকারীর।
পরােপকারের সঠিক রীতি!
প্রশ্নকর্তা : এই সংসারে ভালাে কাজ কাকে বলে ? এর কোনাে । পরিভাষা দেওয়া যায় কি ?
| দাদাশ্রী : হ্যা, ভালাে কাজ তাে এই সমস্ত গাছেরা করছে, এরা নিখাদ ভালাে কাজই করছে। কিন্তু এরা নিজেরা কর্তা হয়ে করছেনা। এই গাছেরা জীবিত; এরা সবাই নিজেদের সমস্ত ফল পরকে দেয়। তুমি তােমার ফল অন্যকে দিয়ে দাও, তােমার ফল তুমি পেতেই থাকবে। তােমার যে ফল উৎপন্ন হয় – দৈহিক ফল, মানসিক ফল, বাচিক ফল, ‘ফ্রী অফ কস্ট' লােকেদের দিতে থাকো তাে তােমার প্রয়ােজনের প্রত্যেকটি বস্তু পেয়ে যাবে। তােমার জীবনে প্রয়ােজনের বস্তু পেতে কিঞ্চিৎমাত্র বাধা আসবে না। আর এই ফল যদি তুমি নিজেই খেয়ে নাও তাে বাধা এসে উপস্থিত হবে। এই আমগাছ যদি নিজের ফল নিজেই খেয়ে নেয় তাে এর মালিক যেই হােক না কেন সে কি করবে? একে কেটে ফেলবে কিনা ?