________________
y০
দ্বিতীয় বাচন সঘটিত হয়। এই সময়ে মথুরা ও নিকটবর্তী স্থানে ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তজ্জন্য সাধুগণ আবার ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়েন এবং শাস্ত্রভ্যাসে শিথিলতার জন্য শাস্ত্ৰসমূহ পুনরায় অব্যবস্থিত হইয়া পড়ে। দুর্ভিক্ষ শেষ হইলে সাধুগণ মথুরা নগরীতে আবার একত্রিত হন এবং আচার্য স্কন্দিল সূরির অধ্যক্ষতায় শাস্ত্র সুব্যবস্থিত ও লিপিবদ্ধ করা
হয়।
| ইহারই নিকটবর্তী কোন এক সময়ে বলভী নগরীতে আচার্য নাগার্জুন সূরির অধ্যক্ষতায় সাধুসঙ্ঘ একত্রিত হন ও নষ্টাবশেষ আগমসিদ্ধান্তের পুনরুদ্ধার করেন। এই সিদ্ধান্তের উদ্ধার ও বাচনকে নাগার্জুনী বাচনা বা বালভী বাচনা বলা হয়। যদ্যপি মাথুরী ও বালভী বাচনা প্রায় সমকালেই অনুষ্ঠিত হইয়াছিল তথাপি ঋদিলাচার্য ও নাগার্জুন সুরি পরস্পর মিলিত হইবার কোন অবসর পান নাই। তজ্জন্য এই উভয় বাচতে স্থানে স্থানে কিছু কিছু পার্থক্য থাকিয়া যায়। এই উভয় বাচনার ১৫০ বা ততােধিক বর্ষ অতীত হইয়া যাইবার পর বলভী নগরীতে পুনরায় সাধুসঙ্ঘ দেবর্ধিগণি ক্ষমাশ্রমণের অধ্যক্ষতায় একত্রিত হন এবং মাথুরী ও বালভী বানাতে যে সমস্ত পাঠান্তর থাকিয়া গিয়াছিল তাহা যতদূর সম্ভব সমন্বয় করিয়া সিদ্ধান্তশাস্ত্র লিপিবদ্ধ করেন। ইহা ব্যতীত আরও যে সমস্ত পাঠান্তর থাকিয়া যায় তাহা পাঠান্তর বলিয়া উল্লিখিত করা হয়। এই ঘটনা মহাবীর নির্বাণ অব্দের ৯৮০ বৎসর পরে মতান্তরে ৯৯৩ বৎসর পরে সঙ্ঘটিত হয়। ক্ষমাশ্রমণের অধ্যক্ষতায় যাহা অনুষ্ঠিত হয় তাহা বাচনা বলিয়া গণ্য করা হয় , তাহা পুস্তকলেখন বলিয়া গণ্য করা হয়। মাথুরী ও বালভী বানাতে যে সমস্ত গ্রন্থ ও প্রকরণ লিপিবদ্ধ করা হয় নাই তাহাও এই সময়ে ব্যবস্থিত ও লিপিবদ্ধ করা হয়। বর্তমানে যে সমস্ত আগমসিদ্ধান্ত প্রচলিত আছে তৎসমস্তই ক্ষমাশ্রমণের অধ্যক্ষতায় লিখিত গ্রন্থের অনুযায়ী। কাহারও কাহারও মতে মাথুরী বাচন অনুযায়ী গ্রন্থ লিপিবদ্ধ করা হয় ও নাগার্জুনীয় বাচন অনুযায়ী পাঠান্তর তােপ উল্লেখে লিপিবদ্ধ করা
হয়।
| ১। মুনি কল্যাণবিজয় প্রণীত বীরনির্বাণ সংবৎ ও জৈন কালগণনা। নাগরী প্রচারিণী পত্রিকা, ভাগ ১০, অঙ্ক ৪, পৃষ্ঠা ৬৮৮-৭১।