________________
পরীষহ অধ্যয়ন মনেও আঘাতকারীর প্রতি দ্বেষভাব আনিবে না। ক্ষমাকে ধর্মসাধনার উৎকৃষ্ট উপায় মনে করিয়া দশবিধ ভিক্ষুধর্ম চিন্তা করিবে ॥২৬||
সমণং সংজয়ং দংতং, হণিজ্জা কোই কখই।
নথি জীব হাসােত্তি এবং পেহেজ্জ সংজএ ॥২৭ কোই (কেহ) কখই (কোনও স্থানে) সংজয়ং (সংযত = জিতেন্দ্রিয় ), দংতং (দান্ত =ক্রোধাদি রহিত) সমণং (শ্রমণকে সাধুকে) (যদি) হণিজ্জা ( হনন করে = প্রাণ সংহার করে অথবা তাড়নাপ্রহারাদি করে ) ( তবে ) সংজএ (সেই সংযত সাধু ) জীব (জীবের= আত্মার) নাসােত্তি ( নাশ) নথি (নাই) এবং পেহেজ্জ ( এরূপ প্রেক্ষা করিবে=চিন্তা করিবে ) ॥২৭|| | যদি কেহ কোন স্থানে জিতেন্দ্রিয় ও ক্রোধাদিরহিত সাধুকে বধ বা প্রহার করে তবে সেই সংযত সাধু ‘আত্মার বিনাশ নাই শরীরই নাশবান্ এইরূপ বিবেচনা করিয়া বধ পরীষহকে সহ্য করিবে ॥২৭
ইতি বধপরীষহ
১। “উত্তমঃ ক্ষমামাদবর্জবশৌচসত্যসংযমতপস্তাগাকিঞ্চব্রহ্মচর্যাণি ধর্মঃ” তত্ত্বার্থাধিগম সূত্র ৯৬ (ক্ষমা, মাদব, শৌচ, সত্য, সংযম, তপঃ, ত্যাগ, আকিঞ্চন্ত ও ব্রহ্মচর্য এই দশপ্রকার সাধুধর্ম) তুলনা
“ধৃতিঃ ক্ষমা দমােহস্তেয়ং শৌচমিলিয়নিগ্রহঃ। ধীর্বিদ্যা সত্যমক্রোধে দশকং ধর্মলক্ষণম্ ॥ মনুস্মৃতি, ৬৯২ অভয়ং সত্ত্বসংশুদ্ধিজ্ঞানযােগব্যবস্থিতি। দানং দমশ্চ যজ্ঞশ্চ স্বাধ্যায়স্তপ আর্জবং | অহিংসা সত্যমক্রোধস্ত্যাগঃ শান্তিবপৈশুনম। দয়া ভূতেলােলুপ্তং মাদবং হ্রীরচাপলম্ ॥ তেজঃ ক্ষমা ধৃতিঃ শৌচমদ্রোহে নাতিমানিত।
ভবতি সম্পদং দৈবীমভিজাতস্য ভারত | গীতা ১৬১,২,৩ || ২। “হন্নিজ্জা’ টীকা ৩। “হতাৎ প্রাণপহারমপি কুৰ্য্যাৎ” টীকা ১। “হস্যাৎ তাড়ায়েৎ” টীকা ৩।
৩। কখবি’ টীকা ৩। ৪। নাসুত্তি’ টীকা ৩। ৫। ‘ন তং পেহে অসহুবং’ টীকা ৩।