________________
পরীষহ অধ্যয়ন বস্ত্রসহিত থাকিব ভিক্ষু এইরূপ চিন্তা করিবে না। (আমায় জীর্ণবস্ত্র দেখিয়া কোনও ধর্মাত্মা আমাকে বস্ত্র দান করিলে আমি সচেলক বা সবস্ত্র হইব এরূপ চিন্তাও মনে আসিবে না= টীকা ২।) ॥১২|
এগয়া অচেলএ হােই সচেলে আবি এগয়া।
এয়ং ধম্মহিয়ং গচ্চা, বাণী নাে পরিদেবএ ॥১৩। এগয়া (একদা = কখন ) অচেলএ ( নিবস্ত্র ) হােই (হয়) এগয়া আবি। ( কখনও) সচেলে ( সবস্তু) (থাকে) এয়ং (এরূপ) (উভয় অবস্থাই ) ধম্মহিয়ং (ধর্মহিতকর) গচ্চা ( জানিয়া) বাণী (জ্ঞানী) নাে পরিদেব ( পরিতাপ করিবে না ) |১৩||
কখন নির্বস্তু, কখনও সবস্ত্র হইলে উভয় অবস্থাই ধর্মহিতকর মনে করিয়া জ্ঞানী সাধু পরিতাপ করিবে না। (বস্তুরহিত অবস্থাকে জিনকল্প অবস্থা ও সবস্ত্র অবস্থাকে স্থবিরকল্প অবস্থা বলিয়া টীকাকারগণ বর্ণনা করিয়াছেন) ১৩
ইতি অচেলপরীষহ গামাণুগামং রীয়ংতং, অণগারং অকিংচণং।।
অরঈ অণুপ্পবিসে, তং তিতিক্খে পরীসহং ॥১৪৷ গামাণুগামং (গ্রামাগ্রাম) রীয়ংতং (বিচরণ করিতে করিতে ) অকিংচণং ( অকিঞ্চন= পরিগ্রহরহিত) অণগারং (সাধু) অরঈ ( অতি = সংযমে ধৈৰ্যাভাব) অণুপ্পবিসে (অনুপ্রবিষ্ট হয় ) (তবে ) তং ( অতি ) পরীসহ (পরীষহকে) তিতিক্খে (সহ্য করিবে=বিচলিত হইবে না) |১৪||
পরিগ্রহরহিত অনগার সাধু গ্রামাগ্রাম বিচরণ করিবার সময় যদি সংযম পালনে ধৈর্যের অভাব অনুভব করে তবে তাহাতে বিচলিত হইবে না, অরতি পরীষহকে সহ্য করিবে ॥১৪।
অরইং পিঠও কিচ্চা, বিরএ আয়রখিএ।
ধম্মারামে নিরারভে, উবসংতে মুণী চরে ॥১৫। মুণী (মুনি=সাধু) অরইং (অতিকে =অধীরতাকে) পিঠও কিচ্চা
১। অণুপ্লবেসেঞ্জা’ টীকা ৪। ২। তুলনা—“সর্বারপরিত্যাগী” গীতা ১২১৬।