________________
উত্তরাধ্যয়ন সূত্র
( অত্যন্ত পিপাসিত ) আউরে ( আতুর = কাতর ) পরীক্কমুহে ( পরিশুষ্কমুখ ) ( হইলেও ) অদীণে ( অদীন = দীনতাশূন্য হইয়া ) তং ( সেই ) পরীষহ ( পিপাসা পরীষহকে ) তিতিক্খে ( সহ্য করিবে ) ॥৫॥
সাধু এক স্থান হইতে স্থানান্তরে যাতায়াতকালে নির্জন পথে অত্যন্ত পিপাসিত হইয়া পরিশুষ্কমুখ ও কাতর হইলেও দীনতা পরিত্যাগ করিয়া ধৈর্যের সহিত পিপাসা পরীষহ সহ্য করিবে ॥৫॥
ইতি পিপাসাপরীষহ
২৬
চরংতং বিরয়ং লূহং, সীয়ং ফুসই এগয়া ৷ নাইবেলং' মুণী গচ্ছে, স্বচ্চাণং জিনসাসণং ॥৬॥
এগয়া ( একদা ) চরংতং ( বিচরণ করিতে করিতে ) বিরয়ং ( বিরত=অগ্নি জ্বালাইতে বিরত ) লুহং (রুক্ষ= তৈলাদি লেপন না করায় রুক্ষ শরীর ) ( সাধু ) ( যদি ) সীয়ং ( শীত ) ফুসই ( স্পর্শ করে ) জিনসাসণং (জিনশাসন = জিনাগম ) সুচ্চাণং (শ্রবন করিয়৷ ) আইবেলং ( স্বাধ্যায়াদির সময় অতিক্রম করিয়া ) ন গচ্ছে ( যাইবে না = অন্যস্থানে যাইবে না )
অগ্নিপ্রজ্বালনাদি কার্য হইতে বিরত রুক্ষাঙ্গ সাধু যদি কখনও বিচরণ করিতে করিতে শীতের দ্বারা অভিভূত হয় তবে জিনাগমের আদেশ স্মরণ করিয়া স্বাধ্যায়ধ্যানাদির সময় অতিক্রমপূর্বক অন্যস্থানে যাইবে না। কিন্তু শীতপরীয়হ সহ্য করিবে ॥৬॥
ন মে নিবারণং অখি, ছবিত্তাণং ন বিজ্জই ।
অহং তু অগ্গিং সেবামি, ইই ভিক্ ন চিংতএ ||৭||
ভিক্খ্ ( সাধু ) মে ( আমার ) নিবারণং ( শীত নিবারণের স্থান=গৃহাদি ) ন অখি ( নাই ) ছবিভাগং ( ছবিত্রাণ = ত্বক্ত্রাণ= শরীর রক্ষার জন্য বস্ত্র কম্বলাদি ) ন বিজ্জই ( নাই ) তু ( তজ্জন্য ) অহং ( আমি ) অগিং ( অগ্নি ) সেবামি ( সেবন করিব ) ইই ( এইরূপ ) ন চিংতএ ( চিন্তা করিবে না ) ||৭||
সাধু শীতনিবারণের জন্য আমার গৃহাদি বা বস্ত্রকম্বলাদি নাই; আমি অগ্নির তাপ সেবন করিব এইরূপ চিন্তা করিবেন না ॥৭॥
ইতি শীতপরীষহ
১। “নাইবেলং বিহমিজ্জা, পাবদিতী বিঘ্নই' টাকা ৩ ।