________________
পরীষহ অধ্যয়ন
তও পুটঠো পিবাসাএ, দুগুংছী লজ্জসংজএ।
সীওদগং ন সেবিজ্জা, বিয়ড়সেসণং চরে ॥৪॥ তও (তাহার পর = ক্ষুধা পরীষহের পর) পিবাসাএ (পিপাসার দ্বারা) পুটুঠো স্পৃষ্ট=অভিভূত =পীড়িত) (হইলেও ) দুগুংছী (অনাচারের জন্য ভীত ) লজ্জসংজএ (লজ্জাসংযত =লজ্জাবান ) ( সাধু) সীওদগং ( শীতােদক =শীতল জল অপ্রাসুকজল ) ন সেবিজ্জা ( সেবন করিবে না = পান করিবে না) (কিন্তু) বিয়ড় ( বিকৃতের = বিকার প্রাপ্ত জলের = প্রাসুক জলের) এসণং ( অন্বেষণের জন্য ) চরে ( পৰ্যটন করিবে ) ॥৪॥
তাহার পর পিপাসার দ্বারা পীড়িত হইলেও সদাচার নষ্ট হইয়া যাইবে এই ভয়ে ভীত, লজ্জাবান সাধু স্বাভাবিক শীতল জল পান করিবে না কিন্তু বিকৃত অর্থাৎ উত্তাপের দ্বারা ফুটান বা অন্য উপায়ে বসবর্ণাদি পরিবর্তিত করা হইয়াছে এরূপ জল অন্বেষণের জন্য গৃহস্থগৃহাদিতে পর্যটন করিবে ॥৪॥
ছিন্নাবাএ পথে, আউরে সুপিবাসি।
পরীসুকমুহে দীণে তং তিতিক্খে পরীসহং | ৫|| ছিন্নাবাএসু ( মনুষ্যের গমনাগমনেন শূন্য ) পংথেসু (পথে =মার্গে ) সুপিবাসি
| ১। “জুগুপ্সকোহনাচার” টীকা ২। “অনাচারাঙীতঃ” টীকা ১।
‘দুগংছ। টীকা ১। ২। লজ্জসংজএ = লজ্জাবান সাধু। যাহার লজ্জা নাই এরূপ নিলজ্জ সাধু অনাচার সেবন করিতে পারে কিন্তু লজ্জাবান ধর্মভীরু সাধু আচারভ্রষ্ট হইতে পারে না। এইরূপ অর্থে লজ্জসংজএ শব্দ প্রয়োগ করা হইয়াছে। | ৩। সীওদগং = শীতল জল। স্বাভাবিক শীতল জল যাহা গরম করা হয় নাই বা ছাই প্রভৃতি মিশ্রিত করিয়া যাহার স্বাদ বর্ণাদি পরিবর্তন করা হয় নাই তাহাকে অপ্রাসুক জল বলে। এরূপ জল সাধুকে পান করিতে নিষেধ করা হইয়াছে।
৪। বিয়ড়সস = বিকৃত অর্থাৎ যে জল ফুটাইয়া পরে ঠাণ্ডা করা হইয়াছে বা যাহাতে ছাই প্রভৃতি মিশাইয়া বিকৃত করা হইয়াছে তাহাকে প্রাসুক জল বলে। এরূপ জল সাধুর গ্রহণ করিবার যোগ্য। জৈনমতে জল অপকায় নামক একেন্দ্রিয় জীবের শরীর, তজ্জন্য সাধুর পক্ষে হিংসা হইবে বলিয়া স্বাভাবিক জল পান করা নিষেধ। জলকে ফুটাইয়া লইলে বা অন্য প্রকারে সংশােধন করিয়া লইলে জীবশূন্য হয় তখন তাহা সাধুর পানযােগ্য হয়। ইহাকে প্রাক বা জীবশূন্য জল বলে।
৫। “ছিন্নাপাতেষু অপগতজলসঞ্চারেষু” টীকা ২। ৬। পরীসুমুহােদীপাে’ টীকা ২।