________________
৪ ০৮
উত্তরাধ্যয়ন সূত্র
চাউজ্জামােয় জো ধম্মাে, জো ইমাে পংচসিখিও।
দেসিও বদ্ধমাণেণ, পাসেণ য় মহামুণী ॥১২|| জো ( যে ) চাউজ্জামাে ( চাতুর্যাম =চারি প্রকার মহাব্ৰত রূপ, প্রাণাতিপাত বিরমণ, মৃষাবাদ বিরমণ, অদত্তদান বিরমণ ও পরিগ্রহ বিরমণ রূপ চতুর্মহাব্ৰত) ধম্মে (ধর্ম) মহামুণী (মহামুনি) পাসেণ (পার্শ্বনাথের দ্বারা) দেসিও ( উপদিষ্ট হইয়াছিল) য় (ও) জো ইমাে ( যে এই ) পংচসিখিও (পঞ্চ শিক্ষাবিশিষ্ট=পঞ্চমহাব্রতবিশিষ্ট, প্রাণাতিপাত বিরমণ, মৃষাবাদ বিরমণ, অদত্তাদান বিরমণ, মৈথুন বিরমণ ও পরিগ্রহ বিরমণ রূপ পঞ্চ মহাব্ৰত ) (ধর্ম) বদ্ধমাণেণ (বর্ধমানের দ্বারা=মহাবীরের দ্বারা) (উপদিষ্ট হইয়াছে) ॥১২
যে চতুর্মহাব্রতবিশিষ্ট ধর্ম মহামুনি পার্শ্বনাথের দ্বারা উপদিষ্ট হইয়াছিল। এবং যে এই পঞ্চ মহাব্রতবিশিষ্ট ধর্ম ভগবান্ বর্ধমানের দ্বারা উপদিষ্ট হইয়াছে তাহাই বা কিরূপ? ॥১২।
অচেলগােয় জো ধম্মো, জো ইমাে সংতরুত্তরো।
এগকজ্জপবাণং, বিসেসে কিং নু কারণং |১৩|| ১। দ্বিতীয় তীর্থঙ্কর অজিতনাথের সময় হইতে ত্ৰয়ােবিংশতিতম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের সময় পর্যন্ত জৈন শ্ৰমণগণ চতুর্যাম ধর্ম অর্থাৎ অহিংসা, সত্য, অচৌর্য ও অপরিগ্রহ এই চারি প্রকার মহাব্রত পালন করিতেন। চতুর্বিংশতিতম তীর্থঙ্কর ভগবান্ মহাবীর তৎসময়ের মনুষ্যগণের মধ্যে সরলতার অভাব দেখিয়া ও দেশ, কালও পাত্রের অবস্থার কথা বিবেচনা করিয়া চতুর্থ অপরিগ্রহ ব্রতকে বিভাগ করিয়া ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ এই দুইটী পৃথক পৃথক্ ব্ৰত করিয়া দিলেন ও তদনুযায়ী অহিংসা, সত্য, অচৌর্য, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ, এই পাঁচটী মহাব্রত স্থাপন করিলেন। বলা বাহুল্য যে, এই সংস্কারের পূর্বে পার্শ্বনাথের সময় পর্যন্ত সাধুগণ ব্রহ্মচর্যব্রতকে অপরিগ্রহব্রতের অন্তর্ভুক্ত মনে করিয়াই পালন করিতেন।
২। “অচেলং মানােপেতং ধবলং জীর্ণয়মল্পমূল্যং বস্ত্রং ধারণীয়মিতি বর্ধমানস্বামিনাপােক্ত, অসদিব চেলং যত্র সেহচেলঃ, অচেল এবাহচেলক, যদ্বস্ত্রং সপ্যসদিব তদ্ধার্যমিত্যৰ্থঃ” টীকা ১।
৩। “সহ অন্তরেণােত্তরেণ প্রধানবহুমূল্যেন নানাবর্ণেন প্রলম্বেন বস্ত্ৰেণ চ বৰ্ত্ততে যঃ স সান্তরোত্তরসচেলকো ধৰ্ম” টীকা ১। “সারাণি বর্ধমানশিষবাপেক্ষয়া কস্যচিৎ কদাচিন্মানবর্ণবিশেষিতানি, উত্তরাণি চ বহুমুল্যতয়া প্রধাননি বস্ত্রাণি যস্মিন্নসৌ সান্তরােত্তরে ধর্ম” টীকা ২। সংতরুত্তরে শব্দের অর্থ উপরে লিখিতমত টীকাকারগণ লিখিয়াছেন কিন্তু সান্তর = অন্তর্বর্তী ও উত্তর = উপরিতন অর্থাৎ অন্তর্বর্তী ও উপরিতন বস্ত্র এরূপ অর্থও করা যাইতে পারে। শ্বেতাম্বর জৈনশাস্ত্রের প্রচলিত মত ইহাই যে মধ্যবর্তী দ্বাবিংশ তীর্থঙ্করগণের সাধুগণ যে কোন বর্ণের, স্বল্পমূল্য বা বহুমূল্য যে কোন প্রকারের বস্ত্র প্রাপ্ত হইতেন তাহাই পরিধান করিতেন। ২৩ নং সূত্র দেখুন।