________________
৩৫৪
উত্তরাধ্যয়ন সূত্র পরিয়ত্তংতীই ( অতিক্রান্ত হইলে=শেষ হইলে) মে (আমার) বেয়ণা (বেদনা) খয়ং গয়া (ক্ষয় প্রাপ্ত হইল ॥৩৩।
হে মহারাজ, এইরূপ চিন্তা করিয়া আমি নিদ্রিত হইলাম এবং রাত্রি অতিক্রান্ত হইবার সঙ্গে সঙ্গে আমার বেদনাও প্রশান্ত হইল ॥৩৩||
তও কল্লে পভায়ংমি, আপুচ্ছিত্তাণ বংধবে।
খংতত দংতাে ণিরারংভাে, পব্বঈও অণগারিয়ং ॥৩৪৷৷ তও ( তৎপরে) কল্লে (কল্যে =পরের দিনে অথবা কল্য =নীরােগ হইয়া ) পভায়ংমি (প্রভাতে) বংধবে ( মাতাপিতা প্রভৃতি আত্মীয়স্বজনকে) আপুচ্ছিত্রাণ ( জিজ্ঞাসা করিয়া) খংতাে ( ক্ষান্ত) দংতে (দান্ত) ণিরারংভাে (হিংসাদি ব্যাপার হইতে রহিত) (হইয়া) অণগারিয়ং (শ্ৰমণধর্মে ) পব্বঈও (দীক্ষিত হইলাম ) ॥৩৪।
তদনন্তর পরদিবস প্রভাতে মাতাপিতাদি স্বজনগণকে জিজ্ঞাসা করিয়া ক্ষান্ত, দান্ত ও আরম্ভরহিত হইয়া শ্ৰমণধর্মে দীক্ষিত হইলাম ॥৩৪।
তও হং পাহাে জাও, অল্পণাে য় পরসস য়।
সব্বেসিং চেব ভূয়াণং, তসাণং থাবরাণ য় ॥৩৫|| তও (তদনন্তর) হং (আমি) অল্পণে ( নিজের) য় (ও) পর (পরের) চেব (এবং) সকেসিং ( সমস্ত ) তাণং ( সজীবের = দ্বীন্দ্রিয়াদি জীবের) য় (ও) থাবরাণ (স্থাবর =একেন্দ্রিয় জীবের) ভূয়াণং (ভূতগণের= জীবগণের ) শাহহা (নাথ ) জাও (হইলাম) ॥৩৫||
| তদনন্তর আমি নিজের ও অপরের এবং সমস্ত এস ও স্থাবর প্রাণিগণের নাথ হইলাম ॥৩৫||
অপ্পা গঈ বেয়রণী, অপ্পা মে কুড়সামলী। অপ্পা কামদুহা ধেণু, অপ্পা মে ণংদণং বণং ॥৩৬||
১। “আউচ্ছিত্তাণ টীকা ৩। ২। ত্ৰস জীবের বিবরণের জন্য ৫৮ সূত্রের ২নং পাদটীকা দ্রষ্টব্য। ৩। স্থাবর জীবের বিবরণের জন্য ৫৮ সূত্রের ৩ নং পাদটীকা দ্রষ্টব্য। ৪। ১৯৫৯ সূত্রের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য। ৫। ১৯৫২ সূত্রের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।