________________
৩৮
উত্তরাধ্যয়ন সুত্র
গারবেসু কসাস্থ, দণ্ডসল্লভএসু য়। * ণিয়তো হাসসােগাও, অণিয়াণাে অবংধণাে॥৯১
গারবেসু (অভিমান হইতে) কসাসু (কষায় হইতে=ক্রোধ, মান, মায়া ও লােভ এই চারিপ্রকার কষায় হইতে) য় (ও) দণ্ডসল্লভএসু (দণ্ড, শল্য ও ভয় হইতে অর্থাৎ দণ্ড =মন, বচন ও কায়ের অসৎ ব্যাপার, শল্য =মায়াশল্য, নিদানশল্য ও মিথ্যাদর্শনশল্য এবং ভয় হইতে) হাসসােগাও (হাস্য ও শােক হইতে =আনন্দ ও শােক হইতে) ণিয়তো (নিবৃত্ত) অণিয়াণণা ( অনিদান=নিদানরহিত) অবংধণাে ( অবন্ধন=রাগও দ্বেষরূপ বন্ধন। রহিত) (হইল ) ॥৯১।
অভিমান, কষায়, তিনপ্রকার দণ্ড, তিনপ্রকার শল্য, ভয়, আনন্দ ও শােক হইতে নিবৃত্ত, নিদানরহিত এবং রাগ ও দ্বেষরূপ বন্ধন রহিত হইল ॥৯১।
অণিসসিও ইহংলােএ, পরলােএ অণিসসিও। বাসীচংদণকপ্পো য়, অসণে অণসণে তহা ॥৯২।
১। “দণ্ডত্ৰয়ং মনােকায়ানামসদ্ব্যাপারে দণ্ড উচ্যতে•••••মায়াশলং নিদানশল্যং মিথ্যাদর্শনশলং চৈতচ্ছল্যত্রয়” টীকা ১। শল্যশব্দের অর্থ কণ্টক। যেমন শরীরের কোন ভাগে কণ্টক বা কোন তীক্ষবস্তু বিদ্ধ হইলে শরীর ও মন দুইই অস্বস্তি অনুভব করে এবং কোন বিষয়ে একাগ্র হইতে পারে না তােপ উপরােক্ত শল্যগুলি থাকিলে মনের সুস্থতা ও একাগ্ৰতা আসিতে পারে না তজ্জন্য এই মানসিক দোষগুলিকে শল্যশব্দের দ্বারা ব্যক্ত করা হইয়াছে। কপটাচরণ করাকে মায়াশল্য বলে। কোন বিষয়ে আসক্ত হইয়া তাহার ভােগে জন্য যে মানসিক লালসা হয় তাহা নিদানশল্য ও সত্যের প্রতি শ্রদ্ধা না রাখিয়া অসত্যের প্রতি আগ্রহ থাকাকে মিথ্যাদর্শনশল্য কহে। “সপ্তভয়ানীমানি ইহলােকভয়ং পরলােকভয়ং আদানভয়ং অকস্মাদ্ভয়ং মরণভয়ং অযশােভয়ং, আজীবিকাভয়ম” টীকা ১। | * তুলনা—“যে ন হৃষতি ন ছেষ্টি ন শােচতি ন কাজতি। শুভাশুভপরিত্যাগী ভক্তিমান যঃ স মে প্রিয়ঃ।” গীতা ১২১৭
২। কোন বিষয়ে আসক্ত হইয়া তাহা প্রাপ্তির জন্য সঙ্কল্প বা লালসা করাকে নিদান কহে। ১৮ সূত্রের ১ নং পাদটীকা দ্রষ্টব্য।
৩। “অনিশ্ৰিতত নিশ্ৰারহিতঃ নেহলােকাৰ্থং পরলােকাৰ্থং বাহনুষ্ঠানবা” টীকা ২।
৪। “বাসীচন্দনকল্পঃ যদা কশ্চিদ্বাস্তা পরশুনা শরীরং ছিনত্তি কশ্চিচ্চনেন শরীরমচয়তি, তদা তয়ােরুপরি সমানকল্পঃ সদৃশাচার” টীকা ১। বাসীচন্দনকল্প শব্দটি দিব্যাবদানে ও (Cowell ও Neil সংস্করণ) এই অর্থেই ব্যবহৃত হইয়াছে, পৃঃ ৯৭, লাইন ২৬, পৃঃ ১৮০ লাইন ২৬ ও পূঃ ৫৬৭ লাইন ১৪ দ্রষ্টব্য।