________________
১৯৪
উত্তরাধ্যয়ন সূত্র
কহং চরে ভিখু বয়ং জয়ামাে, পাবাইং কম্মাইং পণুল্লয়ামােক।
অকৃখাহি ণণা সংজয় জখপূইয়া, কহং সুজঠং কুশলা বয়ংতি ॥৪ | ভিখু (হে ভিক্ষু ) বয়ং (আমরা) কহং (কি প্রকারে) চরে (আচরণ করিব ) ( কি প্রকারে ) জয়ামে (যজামাে=যজ্ঞ করিব ) ( কি প্রকারে ) পাবাইং (পাপ) কম্মাইং ( কর্ম ) পণুল্লয়ামাে ( প্রণুল্লয়ামঃ =বিশেষভাবে বিনাশ করিব) জখপূইয়া (যক্ষপূজিত) সংজয় (সংযত) ণণা (আমাদিগকে) অহি (বলুন) কহং ( কাহাকে) কুসল (তত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তিগণ) সুজং (সু-ইষ্ট=শােভন যজ্ঞ ) বয়ংতি (বলেন) ॥৪৩|| | ( ব্রাহ্মণগণ বলিলেন) হে ভিক্ষু, আমরা কি প্রকারে আচমণাদি আচরণ করিব ? কি প্রকাকে যজ্ঞ করিব? কি প্রকারেই পাপকর্মকে বিনাশ করিব? হে যক্ষপূজিত সংযত, আমাদের বলুন যে তত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তিগণ কাহাকে প্রশস্ত যজ্ঞ বলেন ॥৪ • |||
ছজ্জীবকায়ে অসমারভংতা, মােসং অদত্তং চ অসেমাণা।
পরিগ্রহং ইথিও মাণমায়ং, এয়ং পরিগ্নায় চরংতি দংতা ॥৪১। ( মুনি বলিলেন) দংতা (দান্ত = জিতেন্দ্রিয় ব্যক্তিগণ ) ছজ্জীবকায়ে (যজীব কায়কে=পাঁচ প্রকার স্থাবর ও এস এই ছয় প্রকার প্রাণীকে) অসমারভংতা (সমারম্ভ না করিয়া = হিংসা না করিয়া) মােসং (মৃষা=মৃষাবাদ) চ (ও) অদত্তং ( অদত্তাদান=যাহা প্রদত্ত হয় নাই তাহা গ্রহণ করা, চৌর্য ) অসেরমাণ (সেবন না করিয়া = আচরণ না করিয়া) পরিগগহং ( পরিগ্রহ =বাহ বস্তুতে আসক্তি) ইখিও (স্ত্রী) মাণমায়ং (মান ও মায়া =ক্রোধ, মান, মায়া ও লােভ ) এয়ং (এই সমস্তকে) পরিগ্নায় (পরিজ্ঞায় =সম্যক্ প্রকারে জানিয়া ও পরিত্যাগ করিয়া) চরংতি (আচরণে প্রবৃত্ত হন) ॥৪১||
জিতেন্দ্রিয় ব্যক্তিগণ ছয়প্রকার প্রাণীর হিংসা না করিয়া, মিথ্যা ও
১। “প্রণুল্লয়ামঃ প্রণুদামঃ প্রকর্ষেণ স্ফেটয়ামঃ” টীকা ১। পুণােল্লয়ামাে’ টীকা ৪। ২। “ণে’ টীকা ৩। ৩। ত্ৰস ও স্থাবর জীবের বিবরণের জন্য ৫৮ সূত্রের ২ ও ৩ নং পাদটীকা দ্রষ্টব্য।