________________
প্রশ্নকর্তা ঃ লাগছে।
দাদাশ্রী ঃ আপনি ‘চন্দুভাই' কিন্তু এতে ‘আমি’ এবং আমার দুটো জিনিস আছে। এই ‘আমি এবং আমার পাশাপাশি চলা দুটো রেলের লাইনের মতই আলাদা; সমান্তরাল থাকে কখনও মিশে যায় না। তবুও আপনি এদের এক মনে করেন, এটা বুঝে নিয়ে ‘আমার’কে আলাদা করে দিন। আপনার মধ্যে যা যা আমার আছে তাতে একদিকে রাখুন। আমার হৃদয় তাে তাকে একদিকে রাখুন। এই শরীর থেকে আর কি কি আলাদা করতে হবে?
প্রশ্নকর্তাঃ পা, ইন্দ্রিয়সমূহ।
দাদাশ্রীঃ হ্যা, সবকিছুই। মন-বুদ্ধি-চিত্ত-অহংকার সবই। আর আমার অহংকার’ বলেন না ‘আমি তাহংকার’ বলেন?
প্রশ্নকর্তাঃ আমার অহংকার।
দাদাশ্রী ও আমার অহংকার বললে সেটা পৃথক করতে পারবেন। কিন্তু তারপরে যা আছে তাতে আপনার অংশ কতটা তা আপনি জানেন না। | সেইজন্যে সম্পূর্ণভাবে পৃথক হয় না। আপনি নিজে কিছুদূর পর্যন্তই জানতে পারবেন। আপনি ভুলবস্তুকেই শুধু জানেন, সূক্ষ্মকে জানেন না। সূক্ষ্মাকে পৃথক করা, তারপরে সূক্ষ্মতরকে পৃথক করা, তারপরে সূক্ষ্মতমকে পৃথক করা - এ তাে জ্ঞানীপুরুষেরই কাজ।
কিন্তু এক এক করে সমস্ত অংশ যদি পৃথক করতে থাকেন তাে ‘আমি’ আর আমার এই দুটো পৃথক করা যায় না কি? ‘আমি’ আর ‘আমার এই দুটো পৃথক করতে করতে শেষে কি থাকবে? সমস্ত ‘আমার’কে যদি একদিকে রাখেন তাহলে কি বাকি থাকল?
প্রশ্নকর্তা ঃ “আমি'।
দাদাশ্রীঃ এই ‘আমি’ই আপনি স্বয়ং। ওই ‘আমি’কেই অনুভব করতে হবে। এইখানেই আমাকে দরকার হবে। আমি আপনার মধ্যে ওই সমস্ত কিছু আলাদা করে দেব। তারপরে আপনার ‘আমি শুদ্ধাত্মা, এই অনুভব থাকবে। এই অনুভবের সাথে দিব্যচক্ষুও প্রদান করব। যাতে ‘আত্মবৎ সর্বভূতেষু’ (সর্বজীবে আত্মা বিরাজমান) দেখতে পান।
৪. ‘আমি’-কে কি করে জানা যাবে।
| জপ -তপ, ব্রত আর নিয়ম প্রশ্নকর্তা ও জপ, তপ, নিয়ম এসবের কি প্রয়ােজন আছে ?
[ ৫ ]