________________
কিন্তু এই ‘আমি’ এবং আমার যে ভিন্ন এই কথাটা যদি সবাই, এমনকি বিদেশীরাও বুঝতে পারে তাহলে তাদের অশান্তি অনেক কম হয়ে যায়। এটা বিজ্ঞান। অক্রম বিজ্ঞানের এই আধ্যাত্মিক গবেষণা একেবারেই নতুন। ‘আমি’এটা ‘স্বভাব আর ‘আমার'-এটা স্বামীত্ব-ভাব।
‘আমি এবং আমার’ পৃথক করতে হবে কি না?
আপনাকে যদি বলা হয় যে কোন পদ্ধতির দ্বারা ‘আমি’ এবং ‘আমার’ পৃথক করুন তাহলে কি আপনি তা পারবেন? ‘আমি’ এবং “আমার’ পৃথক করা কিভাবে সম্ভব তা জানতে হবে। যেমন দুধ থেকে মালাই আলাদা করা হয় তেমনি এই বিজ্ঞানও ‘আমি’ এবং ‘আমার’-কে আলাদা করে। আপনার কাছে আমার’ বলে কি জিনিস আছে? ‘আমি’ একাই আছে না সাথে ‘আমার’ ও আছে?
প্রশ্নকর্তা : ‘আমার তাে সাথেই আছে।। দাদাশ্রী ? আপনার কি কি জিনিস আছে যা আমার মধ্যে পড়ে ? প্রশ্নকর্তা : আমার বাড়ী আর বাড়ির সমস্ত জিনিস। দাদাশ্রীঃ সব-ই আপনার? আর স্ত্রী কার? প্রশ্নকর্তাঃ আমারই। দাদাশ্রীঃ আর বাচ্চারা কার ? প্রশ্নকর্তাঃ ওরাও আমার। দাদাশ্রীঃ আর এই ঘড়ি কার? প্রশ্নকর্তা : ওটাও আমার। দাদাশীঃ আর এই হাত কার ? প্রশ্নকর্তা ও হাতও আমারই।
দাদাশ্রী ঃ তবে আমার মাথা, আমার শরীর, আমার পা, আমার কান, আমার চোখ এইরকম বলবেন। এই শরীরের সমস্ত বস্তুকে আমার বলছেন তাে ‘আমার’ যিনি বলছেন তিনি কে? এটা কখনও ভাবেন নি ? ‘আমার নাম চন্দুভাই’ এরকম বলবেন আবার যদি এরকম বলেন যে “আমিই চন্দুভাই’ তাে এই দুটি বাক্যের মধ্যে কোন বিরােধাভাস লাগছে না কি ?
[ ৪ ]