________________
আত্মাতেই আছে। সুতরাং আত্মা প্রাপ্তি হলেই সনাতন সুখ লাভ হবে। সুখ আর দুঃখ
জগতে সবাই সুখেরই খোঁজ করছে কিন্তু সুখের পরিভাষা জানা নেই। সুখ তো এমন হওয়া উচিৎ যার পরে আর দুঃখ কখনও না আসে। এরকম কোন সুখ যদি এই জগতে থাকে তাহলে তা খুঁজে বার করো। শাশ্বত সুখ তো নিজের ভিতরেই আছে; নিজেই অনন্ত সুখের ধাম অথচ লোকেরা নশ্বর পদার্থের মধ্যে সুখ খুঁজে ফেরে।
সনাতন সুখের খোঁজ
যে সনাতন সুখ পেয়েছে তাকে যদি সংসারের সুখ স্পর্শ না করে তো সেই আত্মা মুক্তি পেয়েছে। সনাতন সুখই মোক্ষ। আর অন্য মোক্ষের কি প্রয়োজন! আমার সুখ চাই। আপনার সুখ ভাল লাগে কি না তা আমাকে বলুন।
প্রশ্নকর্তা ঃ ওর জন্যই তো সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
দাদাশ্রী ঃ হ্যাঁ, কিন্তু অস্থায়ী সুখ চাই না । তা ভাল লাগে না। অস্থায়ী সুখের পরে দুঃখ আসে সেইজন্যেই তা ভাল লাগে না। সনাতন সুখের পরে আর দুঃখ আসে না। যদি এরকম সুখ পাওয়া যায় তো সেটাই মোক্ষ। মোক্ষের অর্থ কি? সংসারী দুঃখের অভাবই মোক্ষ। এ সংসারে দুঃখের অভাব কারোর নেই! এই জগতের বিজ্ঞানীরা তো বাইরের বিজ্ঞানের চর্চা করছে; আর একে অন্তরবিজ্ঞান বলে - যা নিজেকে সনাতন সুখের প্রতি অগ্রসর করে। অতএব যা সনাতন সুখের প্রাপ্তি করায় তাকে আত্মবিজ্ঞান বলে আর যা সাংসারিক বিনাশী সুখের সন্ধান দেয় তাকে ভৌতিকবিজ্ঞান বলে। ভৌতিকবিজ্ঞান তো নিজেও বিনাশী আর বিনাশ করায় কিন্তু অক্রমবিজ্ঞান সনাতন আর সনাতনই করায়।
৩। ‘আমি’ এবং ‘আমার’, এ দুটি ভিন্ন
জ্ঞানীই স্পষ্টভাবে এর মৌলিক ব্যাখ্যা দিতে পারেন
‘আমি’ হল ভগবান আর ‘আমার’ হল মায়া। ‘আমি’-ই সত্য। 'আমার’এটা আপেক্ষিক। আত্মার গুণকে 'আমি'তে আরোপিত করলে আপনার শক্তি অনেক বেড়ে যাবে। মূল আত্মা জ্ঞানীর সহায়তা ছাড়া লাভ করা যায় না।
[ 3 ]