________________
মনুষ্যজীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ‘মোক্ষ’ প্রাপ্ত করা;
আপনাকেও তো মোক্ষ পেতে হবে? অনন্ত জন্ম ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আর কতদিন এভাবে ঘুরবেন? কেন এরকম জন্ম-জন্মান্তর ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে? কারণ ‘আমি কে' এটাই জানতে পারেন নি। নিজের স্বরূপকে জানা হয় নি। শুধু অর্থ রোজগারে জীবন অতিবাহিত না করে নিজের স্বরূপকেও জানার চেষ্টা করা উচিৎ, মোক্ষ প্রাপ্তির চেষ্টা করা উচিৎ - নয় কি? মানুষ স্বয়ংই পরমাত্মা হতে পারে। নিজের সেই পরমাত্মা-স্বরূপকে প্রাপ্ত করা – এই হল মানুষের জীবনের অন্তিম ধ্যেয়।
-
মোক্ষ, দুটি পর্যায়ে
প্রশ্নকর্তা ঃ মোক্ষ - এর অর্থ আমরা সাধারনভাবে বুঝি যে জন্ম - মরন থেকে মুক্তি।
দাদাশ্রী ঃ হ্যাঁ, তা ঠিক কিন্তু সেটা অন্তিম মুক্তি, দ্বিতীয় পর্যায়ে হয়। প্রথম পর্যায়ের মুক্তি হল সাংসারিক দুঃখের অভাব। সংসারে থেকেও যদি দুঃখ স্পর্শ না করে, সমস্ত বিঘ্ন-বিপদেও যদি সমাধিদশা থাকে তা হল প্রথম পর্যায়ের মোক্ষ। পরে যখন দেহত্যাগ হয় তখন আত্যন্তিক মোক্ষ বা দ্বিতীয় পর্যায়ের মোক্ষ হয়। প্রথম পর্যায়ের মোক্ষ এখানেই হওয়া উচিৎ। আমার মোক্ষ তো হয়ে গেছে। সংসারে থেকেও সংসার স্পর্শ না করে এরকম মোক্ষ হওয়া চাই। এই অক্রম-বিজ্ঞান দ্বারা এরকম মোক্ষ হওয়া সম্ভব।
২. আত্মজ্ঞান থেকে শাশ্বত সুখ প্রাপ্তি
-
জীবমাত্রই কি চায়? আনন্দ চায় কিন্তু অল্প কিছু সময়ের জন্যেও আনন্দ পায় না । বিবাহ-অনুষ্ঠান বা নাটক যেখানেই যাওয়া যাক না কেন পরে আবার সেই দুঃখই ফিরে আসে। যে সুখের পরে দুঃখ আসে তাকে সুখ বলা যায় কি করে? ওটা তো ক্ষণিক সুখ - মূর্ছিতের আনন্দ। এই সমস্ত সুখ ক্ষণস্থায়ী, কল্পিত সুখ। আসল তো চিরস্থায়ী। প্রত্যেক আত্মা কি খুঁজছে? চিরস্থায়ী সুখ, শাশ্বত সুখ খুঁজে বেড়াচ্ছে। সেই সুখ এখান থেকেই পাওয়া সম্ভব। এই জিনিসটা পেলে, বাড়ি বানালে, গাড়ি কিনলে সুখ পাওয়া যাবে এই ভেবেই মানুষ ঘুরে মরছে কিন্তু কিছুই এর থেকে পায় না। উল্টে আরও বেশী করে সংসারের জালে জড়িয়ে পড়ে। সুখ তো নিজের ভিতরেই আছে,
[ 2 ]