________________
অক্রম - বিজ্ঞান
আত্মসাক্ষাৎকার লাভ করার সরল আর নির্ভুল বিজ্ঞান ১, মনুষ্য জীবনের ধ্যেয় কি?
কেন বেঁচে আছি-তাই জানি না; এই পুরো জীবনটাই তো নষ্ট হয়ে গেছে। লক্ষ্য (ধ্যেয়) ছাড়া জীবনের কোন অর্থ নেই। টাকা-পয়সা আসে আর খাওয়া-দাওয়া করে, মজা করে সারাদিন চিন্তা আর অশান্তির মধ্যে কাটানোকে কেমন করে জীবনের লক্ষ্য বলা যেতে পারে ?
মনুষ্যজীবন এইভাবে ব্যর্থ করার কোন অর্থ নেই। মনুষ্যজীবন লাভ করার পর সেই জীবনের লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্যে কি করা উচিত? সাংসারিক সুখ, ভৌতিক সুখের লক্ষ্য হলে নিজের যা কিছু আছে তা সবার সাথে ভাগ করে নাও ৷
এই জগতের নিয়ম একটা বাক্যেই বলা যায়; এই জগতের সমস্ত ধর্মের মূল কথা, সার কথা এটা-ই, ‘যদি মানুষ সুখ চায় তো অন্যকে সুখ দিতে হবে আর দুঃখ চাইলে দুঃখ দিতে হবে।' তোমার যা চাই সেরকমই দেবে। কেউ বলতে পারে যে আমার তো টাকা-পয়সা নেই, আমি কি করে অন্যকে সুখ দেব! কিন্তু এমন নয় যে টাকা-পয়সা না থাকলে অন্যকে সুখ দেওয়া যায় না। বিপদের সময় বা দরকারে শারীরিক ও মানসিকভাবে লোকের পাশে দাঁড়ানো, কাউকে সঙ্গ দেওয়া, কারোর প্রয়োজনে তার কাজ করে দেওয়া, জিনিষপত্র এনে দেওয়া, কোন পরামর্শ দরকার থাকলে দেওয়া - এভাবেও লোকের উপকার করা যায়।
ধ্যেয় দুই প্রকারের - সাংসারিক এবং আত্যন্তিক
সাংসারিক লক্ষ্য পূরণের জন্যে এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে জীবনযাপন এমনভাবে করতে হবে যাতে কারোর কোন দুঃখের কারণ না হই, কোন জীব যেন বিন্দুমাত্রও দুঃখ না পায়। এরকম লক্ষ্যই সংসারে থাকা উচিৎ যে কেবলমাত্র সৎ, ধার্মিক লোকের সঙ্গই জীবনে হয়, কোনপ্রকার কুসঙ্গ না হয়। দ্বিতীয় প্রকারের ধ্যেয়তে যদি কোন প্রত্যক্ষ জ্ঞানী-পুরুষের সাক্ষাৎ হয়, তাহলে তাঁর থেকে আত্মজ্ঞান প্রাপ্ত করে তাঁর সৎসঙ্গেই থাকলে জীবনের সমস্ত কার্যসিদ্ধি হয়; সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে মোক্ষলাভ হয়।
[ ১ ]