________________
হল। এই ‘জ্ঞান’ এমনি এমনিই হয় নি। অর্থাৎ প্রথম থেকেই এই ভাবে সব ‘এডজাস্টমেন্ট নিয়েছি। যতটা হয়, ক্লেশ না দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
একবার স্নান করার সময় মগ দিতে ভুলে গিয়েছিল। এখন যদি এডজাস্ট না করি তাে আমি কিসের জ্ঞানী? আমি এডজাস্ট করে নিই। হাত দিয়ে দেখলাম জল খুব গরম। কল খুললাম তাে ট্যাঙ্ক খালি। শেষে আমি আস্তে-আস্তে হাত দিয়ে জল চাপড়ে চাপড়ে ঠান্ডা করে স্নান করলাম। সব মহাত্মারা বললাে, “আজ দাদাজীর স্নান করতে অনেক সময় লেগেছে। তাে কি করব? জল ঠান্ডা হলে তবে না। আমি কাউকে ‘এটা আনাে আর ওটা আনাে’ বলি না। এডজাস্ট হয়ে যাই। এডজাস্ট হয়ে যাওয়াই ধর্ম। এই দুনিয়ায় তাে প্লাস মাইনাসের এডজাস্টমেন্ট করতে হয়। মাইনাস হলে তাকে প্লাস আর প্লাস হলে তাকে মাইনাস করতে হয়। আমার বােধশক্তিকে যদি কেউ পাগলামি বলে তাে আমি বলি, হ্যা, ঠিক আছে। সাথে সাথে তাকে মাইনাস করে দিই। | যে এজাস্ট হতে পারে না তাকে মানুষ কি করে বলব? যে সংযােগের বশ হয়ে এডজাস্ট হয়ে যায় তার ঘরে কোন ঝাট হয় না। আমিও হীরাবার সাথে এডজাস্ট করেই এসেছি না! এর লাভ নিতে চাও তাে এডজাস্ট হয়ে যাও। এ তাে লাভের কোন বস্তুই নয়, আর শত্রুতা তৈরী করবে, সে তাে আলাদা। কেন না প্রত্যেক জীব স্বতন্ত্র আর নিজে সুখ খুঁজতে এসেছে। অন্যকে সুখ দিতে কেউ আসে নি। এখন সুখের বদলেদুঃখ পেলে শত্রুতা তৈরী হবে, সে স্ত্রী হােক বা সন্তান হােক।
প্রশ্নকর্তা ও সুখ খুঁজতে এসে দুঃখ পেলে শত্রুতা হয় ?
দাদাশ্রী ও হ্যা, সে ভাই হােক কি বাবা হােক, ভিতরে ভিতরে এই কারণে শত্রুতা হয়। এই দুনিয়াই এরকম, শত্রুতাই করে। স্বধর্মে কারাের সাথে শত্রুতা হয় না। প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে কিছু প্রিন্সিপল (সিদ্ধান্ত) তাে। হওয়াই চাই। আবার সংযােগানুসার আচরণও করা চাই। সংযােগের সাথে। | যে এডজাস্ট হয়ে যায় সেই মানুষ। প্রত্যেক সংযােগে যদি এডজাস্টমেন্ট নিতে শেখে তাহলে একদম মােক্ষে পৌঁছাতে পারে, এমন আশ্চর্য্য হাতিয়ার।
এই দাদাজী গভীর-গহনও, মিতব্যয়ী-ও আবার অমিতব্যয়ী-ও। নিশ্চিতভাবে অমিতব্যয়ী হওয়া সত্ত্বেও ‘কমপ্লীট এঞ্জাস্টেব। পরের
[ ২৫ ]