________________
বললাম, আমার কাছে দুই-ই সমান। আমার তাে কাজের সাথে সম্পর্ক!
তুমি আমাকে এগারােটার সময় যদি বলাে, তােমাকে খেয়ে নিতে হবে। আমি বলবাে একটু পরে খেলে চলবে না?' তখন যদি বলাে যে, ‘না, খেয়ে নাও, কাজ শেষ হবে। তাহলে আমি সাথে সাথে খেতে বসে যাব। আমি তােমার সাথে এডজাস্ট হয়ে যাব।
থালায় যা আসবে তাই খেয়ে নেবে।। যা সামনে আসে তাই সংযােগ আর ভগবান বলেছেন যে সংযােগকে ধাক্কা মারলে সেই ধাক্কা তােমারই লাগবে। এইজন্যে আমার পছন্দ নয় এরকম জিনিষ থালায় দিলে তার থেকে দুটো খেয়ে নিই। না খেলে দুজনের সাথে ঝগড়া হবে। এক তাে যে রান্না করেছে তার সাথে ঝাট হবে, তিরস্কার করা হবে আর দ্বিতীয়তঃ খাদ্যবস্তুর সাথে। খাদ্যবস্তু বলবে, “আমার কি অপরাধ? আমি তােমার কাছে এসেছি, তুমি আমার অপমান করছাে কেন ? তােমার যেটুকু ঠিক মনে হয় তা নাও, কিন্তু আমার অপমান করাে না। এখন আমার একে মান দেওয়া উচিৎ নয় কি? আমাকে তাে পছন্দ নয় এমন জিনিষ কেউ দিলেও আমি তার মান দিই। কারণ একে তাে এমনি কিছুই পাওয়া যায়
, আর যদি পাওয়া গেল তাে তাকে মান দিতে হয়। কেউ তােমাকে কিছু খেতে দিয়েছে আর তুমি তার দোষ বের করলে তাে তাতে সুখ বাড়বে কমবে?
যাতে সুখ কমে যায় এমন কাজ না করাই উচিৎ, নয় কি? আমি তাে বহুবার পছন্দ নয় এমন সজীও খেয়ে নিই এবং তারপরে বলি আজকের সজীটা খুব ভালাে হয়েছে।
আরে, অনেক সময় তাে চায়ে চিনি না দিলেও আমি বলি না। তাতে লােকে বলে এরকম করলে ঘরে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে। আমি বলি, ‘কাল কি হয় দেখাে না। পরের দিন শােনা গেল, কাল চায়ে চিনি দেওয়া হয় নি, তুমি তাে আমাকে কিছু বললে না। আমি বললাম, আমার বলার কি দরকার? তুমি তাে বুঝতেই পারবে! তুমি না খেলে আমার বলার দরকার ছিল। তুমি তাে খাও, তাহলে আর আমার বলার কি দরকার?!
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু কত জাগৃতি প্রতি মূহুর্তে রাখতে হয়।
[ ২৪ ]