________________
এই মতভেদ তাে নিজের অহংকারের জন্যে হয়। যে দেখতে জানে তার অহংকার আছে। আমার অহংকার নেই তাই সারা সংসারে কারাের সাথে আমার মতভেদ হয় না। আমি দেখতে পাই এটা গােলাপ’, এটা ‘জুই’, এ ধুতুরা’, এটা কটু কুদরু’-র ফুল। এরকম সব আমি চিনতে পারি। মানে বাগানের মত হয়ে গেছে। এটা প্রশংসনীয় নয় কি? তােমার কি মনে হয়?
প্রশ্নকর্তা ঃ ঠিক আছে।
দাদাশ্রী ঃ কথা হল যে প্রকৃতিতে পরিবর্তন হয় না। ও তাে যেমনকার তেমন জিনিস, ওতে কোন পার্থক্য হয় না। আমি প্রত্যেক প্রকৃতিকে জেনেছি, সেইজন্য তাড়াতাড়ি চিনতে পারি। তাই আমি প্রত্যেকের সাথে তার প্রকৃতি অনুসারে থাকি। সূর্যের সাথে যদি আমি দুপুর বারােটার সময় বন্ধুত্ব করি তাে কি হবে? এইভঅবে যদি আমি বুঝতে পারি যে এ গ্রীষ্মের সূর্য, এ শীতের সূর্য, এরকম সব বুঝলে কোন অসুবিধা হবে কি ? | আমি প্রকৃতিকে চিনি, সেইজন্যে তুমি ধাক্কা দিতে চাইলেও আমি ধাক্কা লাগতে দেব না, সরে যাব। নয়তাে দুজনেরই অ্যাক্সিডেন্ট হবে আর দুজনেরই স্পেয়ারপার্টস ভেঙে যাবে। কারাের যদি বাম্পার ভেঙে যায় তাে ভিতরে যারা বসে আছে তাদের কি অবস্থা হবে? যারা বসে আছে তাদের দুর্দশা হবে না! সুতরাং প্রকৃতিকে চেনাে। ঘরে সবার প্রকৃতি চিনে নিতে হবে।
এই কলিযুগে প্রকৃতি ক্ষেতের মত নয়, বাগিচার মত। একজন চম্পা তাে অন্যজন গােলাপ, জুই, চামেলী এইসমস্ত। তাই সব ফুল ঝগড়া করে। একজন যদি বলে আমার এইরকম তাে আরেকজন বলে আমার এইরকম। তখন একজন বলবে তাের কাটা আছে, চলে যা, তাের সাথে কে থাকবে। এইরকম ঝগড়া চলতেই থাকে।
কাউন্টারপুলীর চমৎকার আমার নিজের মত প্রথমে রাখা উচিৎ নয়। সামনের জনকে জিজ্ঞাসা করবে যে এই প্রসঙ্গে তুমি কি বলতে চাও? সে যদি নিজের মত ধরে রাখে তাে আমি নিজের মত ছেড়ে দিই। আমার তাে এটাই দেখার যে। কোনভাবে যেন সামনের জনের দুঃখ না হয়। নিজের অভিপ্রায় সামনের
[ ১৯ ]।