________________
কোন ব্যক্তি যদি কিকি করে তাে সেটা তার স্বভাব। সেইজন্যে তােমাকে বুঝে নিতে হবে এর স্বভাব এইরকম। তুমি কি সত্যিই বুঝতে পারাে যে এ এইরকমই? তাহলে এতে আর বেশি খোঁজ করার কি দরকার? তুমি চিনতে পেরেছাে, তাহলে আর খোঁজ-খবরের কোন দরকার থাকে
। কিছু লােকের রাতে দেরীতে শােওয়া স্বভাব, আবার কিছু লােক তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে। তাে এদের মধ্যে সমন্বয় কি করে হবে? আর পরিবারে সব সদস্য যদি একসাথে থাকে তাহলে কি হবে? ঘরে যদি কারাের এরকম বলার অভ্যেস থাকে যে তােমার আক্কেল কম’ তাহলে তােমাকে বুঝে নিতে হবে যে এর কথাই এরকম। সুতরাং তােমাকে এডজাস্ট হতে হবে। তার বদলে তুমিও প্রত্যুত্তর দিতে থাকলে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। কেননা সে তাে তােমাকে ধাক্কা দিয়েছ, কিন্তু তুমিও তাকে ধাক্কা দিলে তােমারও চোখ নেই এটাই প্রমাণিত হয়ে যায় না কি? আমি এটাই বলতে চাইছি | যে প্রকৃতির সায়েন্স জানাে। বাকী, আত্মা তাে আলাদা জিনিষ।
বাগিচার ফুলের বর্ণ - সুগন্ধ বিভিন্ন তােমার ঘর তাে বাগিচা। সত্য-ক্রেতা-দ্বাপরযুগে ঘর ক্ষেতের মত হত। কোন ক্ষেতে শুধুই গােলাপ, কোন ক্ষেতে শুধুই চম্পা। কিন্তু এখন ঘর বাগানের মত হয়ে গেছে। সেইজন্যে এটা জুই না গােলাপ তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে না? সত্যযুগে এইরকম ছিল যে একটা ঘরে গােলাপ হলে সবাই গােলাপ আর অন্য ঘরে একজন জুই হলে অন্য সকলেই জুই হত। এক পরিবারে সমস্তই গােলাপের গাছ, একটা ক্ষেতের মত। সেইজন্যে অসুবিধা হত না। আর আজকাল বাগানের মত হয়ে গেছে। এক ঘরে একজন গােলাপের মত তাে আরেকজন জুইয়ের মত। তাই গােলাপ চেঁচামেচি করে যে তুই কেন আমার মত নয় ? তাের রং দেখ, কেমন সাদা আর আমার রং কেমন সুন্দর! তখন জুই বলে তাের তাে খালি কাঁটা। এখন গােলাপ হলে কাটা থাকবে আর জুইফুল হলে কাটা থাকবে না। জুইফুল সাদা হবে আর গােলাপ ফুল গােলাপী হবে, লাল হবে। এই কলিযুগে একই ঘরে আলাদা আলাদা গাছ হয়। অর্থাৎ ঘর বাগানের মত হয়ে গেছে। কিন্তু এটা যার দেখার ক্ষমতা নেই তার কি হবে? তার দুঃখ তাে হবেই। জগতের এটা দেখার দৃষ্টি নেই। আসলে কেউ খারাপ হয় না।
[ ১৮ ]]