________________
এর সাথে এডজাস্ট’ হয়ে কাজ সারতে হবে। তারপরে জিজ্ঞাসা করাে, ভাই, তােমার কি ইচ্ছা ? দেখাে ভাই, আমি তাে যাত্রায় বেরিয়েছি। তার সাথে এডজাস্ট হয়ে যাবে।
স্ত্রী খাবার বানিয়েছে, তাতে ভুল বার করলে তা ব্লান্ডার। এরকম ভুল বার করবে না। যেন নিজে কখনও ভুল করাে না এভাবে কথা বলে। হাউ টু এডজাস্ট? এডজাস্টমেন্ট নেওয়া উচিৎ। যার সাথে সবসময় থাকতে হবে তার সাথে এডজাস্টমেন্ট নিতে হবে না? তােমার থেকে যদি কেউ দুঃখ পায় তাে তাকে ভগবান মহাবীর-এর ধর্ম কি করে বলবে? আর ঘরের লােকেদের তাে অবশ্যই দুঃখ না হওয়া চাই।।
ঘর - একটি বাগিচা। এক ভাই আমাকে বলছিল যে, ‘দাদাজী, আমার স্ত্রী ঘরে এইরকম করে, ওইরকম করে। তখন আমি তাকে বললাম যে তােমার স্ত্রী-কে জিজ্ঞাসা করলে সে বলবে, আমার পতিই নির্বোধ। এখন এতে তুমি তােমার একার ন্যায় কেন খুঁজছাে কেন? তখন সে ভাই বলল, “আমার তাে ঘর বিগড়ে গেছে, বাচ্চারা বিগড়ে গেছে, স্ত্রী বিগড়ে গেছে। আমি বললাম, “কিছুই বিগড়ে যায় নি। তােমার দেখার চোখ নেই। তােমার নিজের ঘর দেখতে পারা চাই। প্রত্যেকের প্রকৃতিকে চিনতে পারা চাই।
ঘরে এডজাস্টমেন্ট হয় না, তার কারণ কি? পরিবারে বেশী সদস্য হলে তাদের সবার মধ্যে তাল-মেল থাকে না। পরে দই জমার আগেই হাত দেওয়ার মত ব্যাপার হয়ে যায়। এরকম কেন হয়? মানুষের স্বভাব একরকম হয় না। যুগ যেরকম হয় স্বভাবও সেরকম হয়ে যায়। সত্যযুগে সবার মধ্যেই মিল থাকে। ঘরে একশাে-জন থাকলেও দাদাজী যা বলেন সেই অনুসারে সবাই চলত আর এই কলিযুগে তাে দাদাজী কিছু বললে তাকে লম্বা-চওড়া গালি শােনায়। বাবা যদি কিছু বলে তাে তাকেও সেরকমই শুনিয়ে দেয়।
এখন মানুষ তাে মানুষ-ই, কিন্তু তােমার চেনার ক্ষমতা নেই। ঘরে পঞ্চাশজন লােক আছে কিন্তু তুমি তাদের চিনতে সক্ষম নও। সেইজন্যে একে অন্যের ব্যাপারে দখল হয়ে যায়। এদেরকে চেনা তাে দরকার। ঘরে
[[ ১৭ ]