________________
12/0
টীকাতে উমাস্বাতি আচার্যকে পাঁচশত গ্রন্থরচয়িতা বলিয়া লিখিয়াছেন। ইহা দ্বারা প্রতীতি হইতেছে যে, উমাস্বামি অতুল প্রতিভা ভূষিত বিদ্বান্ ছিলেন,–“ইহাচার্য্যঃ শ্রীমানুমাম্বাতিপুত্ৰঃ পঞ্চশত প্ৰবন্ধ প্ৰণেতা বাচকমুখ্যঃ” । নগর তালুকের শিলালিপিতে ( নং ৪৬ ) ভাষ্যকার উমাস্বাতি সম্বন্ধে এইরূপ একটি শ্লোক উৎকীর্ণ রহিয়াছে ।
“তত্ত্বার্থসূত্রকর্তারমুম।স্বাতি-মুনীশ্বরম ।
শ্রুতকে বলি-দেশীয়ং বন্দেহহং গুণমন্দিরম্ ॥”
আমি তত্ত্বার্থসূত্র প্রণেতা মুনিশ্রেষ্ঠ শ্রুতকেবলী সাধুতুল্য অসীম গুণালয় উমাস্বাতি আচার্যকে অভিবাদন করিতেছি, যেহেতু ইনি বিদ্বৎসমাজে বরণীয় ও শ্রুতকেবলী সাধু সদৃশ ছিলেন L. শ্রবণ ( শমণ ) বেলগোলার শিলালিপিতে (নং ১০৫ ) আচার্য উমাম্বাতি বিষয়ে লিখিত আছে,—
“শ্রীমানুমাস্বাতিরয়ং যতীশস্তত্ত্বার্থসূত্রং প্রকটীচকার ।
যন্মুক্তিমার্গাচরণো্যতানাং পাথেয়ধর্মং ভবতি প্ৰজানাম্ ॥”
যতিশ্রেষ্ঠ শ্রীমদুমা স্বাতি (স্বীয় অশেষ বৈদয্যগুণে ) জৈনদর্শনের তত্ত্বার্থ সুত্রাবলীর ব্যাখ্যা ( ভাষ্য ) রচনা করিয়াছেন। তাঁহার প্রদর্শিত মহার্ঘ্য (নির্বাণ) তত্ত্বই মুক্তিপথে গমনোগত জনগণের পাথেয় হয় । শ্রবণ বেল্ গোলার অপর একখানি শিলালিপিতেও ( নং ১০৮ ) উমাস্বাতি সম্বন্ধে সুস্পষ্ট অঙ্কিত আছে, —
“অভূদুমাস্বাতি মুনিঃপবিত্রে, বংশে তদীয়ে সকলার্থবেদী। সূত্রীক্বতং যেন জিন প্রণীতং, শাস্ত্রার্থজাতং মুনিপুঙ্গবেন ॥”
সকল তত্ত্ববেত্তা মুনি উমাস্বাতি ( কুন্দকুন্দাচার্য্যের ) প্রশস্তবংশে আভিজাত্য সহিত জন্মপরিগ্রহণ করিয়াছিলেন । সে মুনিশাদুল ভগবান্ জিনদেবের পূত উক্তিসমূহ সূত্রমালায় গ্রথিত করিয়াছিলেন। ( এই মতে উমাম্বাতি সূত্র ও ভাষ্য প্রণেতা ) ৷ ১ ৷৷
“স প্রাণিসংরক্ষণ সাবধানঃ বভার যোগী কিল গৃধ্রপক্ষান্ ।
তদাপ্রভৃত্যেব বুধাযমাহুরাচার্য্যশব্দোত্তর গৃধ্রপিচ্ছম্ ॥” ২ ॥
আচার্য উমাস্বাতি প্রাণিবধ ভয়ে সকল সময়ে খুব সাবহিত থাকিতেন। যোগী বেশ ধারণ করিয়া ( কোনও কারণবশতঃ ) গৃধ্র পক্ষীর পুচ্ছসকল বেশরূপে ব্যবহার করিয়াছিলেন ; সে অবধি সুধীগণ তাহাকে “গৃধ্র পিচ্ছাচাৰ্য্য” নামে অভিহিত করিয়াছেন।
প্রথম শ্লোকটি পাঠান্তরিত ভাবে দেখিতে পাওয়া যায় যথা,
“তত্ত্বার্থসূত্রকতারং গৃধ্রপিচ্ছোপলক্ষিতম্ ।
বন্দে গণীন্দ্র সংঘাতমুম।স্বাতিংমুনীশ্বরম্ ॥”
এই শ্লোকে ‘গৃধ্রপিচ্ছ-উপলক্ষিত' এইটি উমাস্বাতির অপর নাম । এই মতে উমা
- স্বাতির গুরু কুন্দকুন্দাচার্যের (তদীয় ) শিষ্য উমাম্বাতি উপলক্ষিত বিধায় প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছে । এই বিষয়ে জৈনাচার্যগণের মধ্যে নানারূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে; বিশেষ বিস্তার ভয়ে
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org