________________
. ১/৩ ঘটিয়াছিল তাহাই জৈন ধর্মের মূল ভিত্তি। আরণ্যক ক্ষত্রিয় সন্ন্যাসীরা সমাগত শ্রাবকমণ্ডলীর নিকট যে অহিংসা ধর্ম ও কর্মফল খণ্ডনের উপদেশ দিতেন তাহাই মহাবীর স্বামীর নিকট সুনিয়ন্ত্রিত ও শাস্ত্র-নিবদ্ধ হইয়া জৈন ধর্মরূপে প্রকাশ পাইয়াছে।
জৈন সাহিত্য জৈনসাহিত্য সাধারণতঃ জৈনদিগের ধর্মসাহিত্য। জৈন ধর্মসাহিত্যকে সাধারণতঃ ‘আগম’ নামে অভিহিত করা হয়। এই আগম গ্রন্থগুলি ‘অঙ্গ’ ও ‘অঙ্গ-বাহিরিয়’ ভেদে দ্বিবিধ। অঙ্গবাহিরিয় গ্রন্থগুলি আবার ‘অঙ্গপ্লবিট’ ও ‘ অ ল্পবিদ্ঠ’ ভেদে দ্বিবিধ। ‘আগম’ গ্রন্থগুলির সংখ্যা ৪৫। ১১খানি ‘অঙ্গ’, ১২খানি ‘উবঙ্গ’ (উপাঙ্গ) ১০খানি ‘পইন্ন’ (দশ প্ৰকীর্ণকাঃ ), ৬খানি ছেয়সুত্ত’ ( ‘ট ছেদসূত্ৰানি ), ২খানি বিশিষ্ট গ্রন্থ এবং ৪ খানি মূলসুত্ত (মূলসূত্র ) লইয়া ৪৫খানি আগম। | একাদশ অঙ্গঃ (১) আয়ারংগ (আচারাঙ্গ), (২) সূয়গড়ংগ (সূত্ৰকৃতাঙ্গ ), (৩) ঠাণংগ ( স্থানাঙ্গ), (৪) সমবায়ংগ (সমবায়াঙ্গ), (৫) ভগবতী বিয়াহাপন্নত্তি (ব্যাখ্যা প্রজ্ঞপ্তি) (৬) নায়াধম্মকহাও (জ্ঞাতাধর্মকথাঃ), (৭) উবাসগদসাও ( উপাসকদশাঃ), (৮) অন্তগড়দসাও (অন্তকৃশাঃ ), (৯) অণুত্তরােববাইয়াদসাও (অনুত্তােপপাতিক দশাঃ), (১০) পণহাবাগরণাইং (প্রশ্নব্যাকরণানি ), (১১) বিবাগসূয়ং ( বিপাকত) [ এবং অধুনালুপ্ত (১২) দিঠিবায় (দৃষ্টিবাদঃ) ]।
দ্বাদশ উপাঙ্গঃ (১) উবাইয় (ঔপপাতিক ), (২)
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org