________________
( ৩২ )
কংসপাঈ [ কাংস্য পাত্রম্ ] কাঁসার পাত্র। 'পাত্র' শব্দ ক্লীবলিঙ্গ । 'কন্যা' অর্থে 'পাত্রী' শব্দ আধুনিক, প্রাচীন ভাষায় ছিল না। কিন্তু ভোজনপাত্র, রন্ধনপাত্র, জলপাত্র প্রভৃতি বিশিষ্ট মাপের পাত্রকে ‘পাত্রিক’ [ স্ত্রীলিঙ্গে ‘পাত্রিকী’ ] ‘স্থালী’, ‘ঘটী’, ‘কলসী’ প্রভৃতির ন্যায় ‘পাত্রিকী’ শব্দ অতি পূর্বকালে ব্যবহৃত হইত বলিয়া মনে হয়। ‘পাত্রিকী’ শব্দ হইতে ‘পাঈ’ শব্দ উদ্ভূত হইয়া থাকিতে পারে। মাপের পা ‘পাই’ শব্দ বাঙ্গালায় প্রচলিত আছে ৷ রন্ধনের পাত্র ‘পাতিল' আছে । মূলে আছে ‘কংসপাঈব মুক্কতোএ' [ কাং্যপাত্রিকী ইব মুক্ততোয়ঃ ] অর্থাৎ উজ্জ্বল কাংস্যপাত্র যেমন ( মৃৎপাত্রের ন্যায় ) জলে আর্দ্র হয় না, জল ফেলিয়া দিলেই শুষ্ক হইয়া পড়ে, সেইরূপ মহাবীর স্বামীর কর্মমুক্ত আত্মায় কোনও প্রকার আসক্তি বা মালিন্য ছিল না ৷ শুভ বা অশুভ কর্ম বা কর্মাসক্তি হইতে তিনি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হইয়াছিলেন। তাঁহার কাংস্য-শুষ্ক আত্মায় যে কর্ম-স্পর্শ ঘটিয়াছিল তাহা নিঃশেষে বিদূরিত হইল ৷ ১১৮
ককুহ [ ককুদ ] ককুদ, অংসকুট, ষাঁড়ের ঝুটি । ‘ককুভ’ শব্দ ও ‘ককুদ্’ শব্দ ‘পর্বত শিখর' অর্থে ব্যবহৃত হইত। “ককুহ’ শব্দ 'ককুদ’ শব্দের প্রাকৃত রূপ হইলেও ইহার উপর ‘ককুভ' শব্দের প্রভাব আছে বলিয়া মনে হয়।
৩৪
কক্কড়চ্ছ [ কৰ্কটাক্ষ ] কর্কট সদৃশ অক্ষি যাহার । ‘বেলিয়-কক্কড়চ্ছং’ [ বেল্লিত-কৰ্কটাক্ষম্ ] বেল্লিত অর্থাৎ বক্র ও স্পন্দিত বা ঘূর্ণিত এবং কর্কট-প্রমাণ অক্ষি অর্থাৎ চক্ষু যাহার সেইরূপ বৃষভ। ষাঁড়ের চোখ দুইটি দেখিতে কাঁকড়ার মতো এবং তাহা আবার এদিকে-ওদিকে ঘুরিতেছিল। বৃষের তেজস্বিত্ব ও বলবত্তার পরিচায়ক । ৩৪
কঙ্কেঅণ [ কর্কেতন ] রত্ন-বিশেষ। 80
কক্খড়ে [ কক্খটঃ ] কর্কশ ব্যাপার, রূঢ় বাক্যের ব্যবহার, গালাগালি । কড়ুএ [ কটু ব্যবহার ], উগ্রতা, রাগারাগি বিগ্গহে [ বিগ্রহঃ ] বিবাদ, মারামারি। নিগ্রন্থ ও নিগ্রন্থীরা পর্যুষণা উৎসবের পর পূর্ব বৎসরের বিবাদাদির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিবে ও পরস্পরকে
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org