________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
পারে কিন্তু যারা অপরাধ করে তারা মুক্তি পায় না । প্রচন্ড বেশী অহংকার হলে তবেই অপরাধ করতে পারে । সেইজন্যে নিজেই নিজেকে বলতে হবে যে, “ভাই, তুমি তো পাগল ! অকারণে মেজাজ (অহংকারের) নিয়ে চলেছো। লোকেরা জানে না, কিন্তু আমি তো জানি তুমি কিরকম ? তুমি তো পাগল !' এইভাবে নিজেকে উপায় বের করতে হয়। প্লাস আর মাইনাস করতে হয়। শুধুমাত্র গুণ করতে থাকলে কোথায় পৌঁছাবে ? সেইজন্য তুমি ভাগাকার করবে । যোগ-বিয়োগ প্রকৃতির অধীন হয়, কিন্তু ভাগ-গুণ মানুষের হাতে । অহংকার দিয়ে যদি সাতগুণ করা হয়ে থাকে তো সাত দিয়ে ভাগ করবে তাহলে হল নিঃশেষ !
প্রশ্নকর্তা : কারোর নিন্দা করাটা কিসের মধ্যে পড়ে ?
দাদাশ্রী : নিন্দাকে তো বিরাধনা বলে। কিন্তু প্রতিক্রমণ করলে তা চলে যায় অবর্ণবাদের মত। তাই তো আমি বলি যে কারোর নিন্দা করো না। তবুও লোকে পিছনে নিন্দা করে। আরে, নিন্দা করতে নেই। এই বাতাবরন সমস্তটাই পরমানুতে ভরা, সেইজন্য সব ওর কাছে পৌঁছে যায়। কারোর জন্যে একটা শব্দও কিন্তু দায়িত্ব না নিয়ে বলতে পারো না। আর কিছু বলতে হয় তো ভালো বলবে। কীর্তির কথা বলবে, অপকীর্তির কথা বলবে না ।
১৪
সেইজন্যে কারোর নিন্দার মধ্যে যাবে না। গুনগান করতে না পারলে আপত্তি নেই কিন্তু নিন্দা করবে না। নিন্দা করলে তোমার লাভ কিছু হবে কি ? এতে তো খুব লোকসান হয়। অত্যন্ত লোকসান যদি এই জগতে কিছুতে হয় তো তা নিন্দা করার জন্য হয়। সেইজন্য কারোরই নিন্দা করার কারণ হওয়া উচিৎ নয় ।
এখানে তো নিন্দা বলে কোনো বস্তু হয় না। আমরা বোঝার জন্যে কথা বলছি যে কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ ! ভগবান কি বলেছেন ? বলেছেন যে খারাপকে খারাপ বলে জানো আর ভালো-কে ভালো বলে জানো। কিন্তু খারাপকে চেনার সময় এর উপর কিঞ্চিৎমাত্র দ্বেষ-ও যেন না হয় আর ভালো-কে চেনার সময়ে এর উপর কিঞ্চিৎমাত্র রাগ-ও যেন না হয় । খারাপকে খারাপ বলে না চিনলে ভালো-কে ভালো বলে চেনা যায় না। সেইজন্য আমি বিশদভাবে বলছি ; জ্ঞানীর কাছ থেকেই জ্ঞানকে