Book Title: Right Understanding To Help Others Bengali
Author(s): Dada Bhagwan
Publisher: Dada Bhagwan Aradhana Trust

View full book text
Previous | Next

Page 26
________________ সেবা – পরোপকার দাদাশ্রী : জনতা-জনার্দনের সেবা করলে তুমি সংসারের সমস্ত সুখ পাবে, ভৌতিক সুখ আর ধীরে ধীরে স্টেপ বাই স্টেপ মোক্ষের প্রতি অগ্রসর হবে। কিন্তু তা প্রত্যেক জন্মে করতে পারবে এমন নয়। কোনো জন্মে সংযোগ পেয়ে গেলে হবে। নয়তো প্রত্যেক জন্মে হয় না বলে এটা সিদ্ধান্ত নয় ৷ ১৭ . কল্যাণ -এর শ্রেণী-ই কি আলাদা ! সমাজ কল্যাণ করাকে জগতের কল্যাণ করছে বলা যায় না। এ’তো এক সাংসারিকভাব, এই সবকিছুকে সমাজকল্যাণ বলে। যে যতটুকু করতে পারে ততটুকু করে ; এসবকে স্থূল ভাষা বলে। আর জগৎ-কল্যাণ করা, এ তো সূক্ষ্ম ভাষা, সূক্ষ্মতর ভাষা এবং সূক্ষ্মতম ভাষা ! শুধুমাত্র এরকম সূক্ষ্মতম ভাব-ই হয় অথবা তার ছিটেফোঁটা হয়। সমাজসেবা প্রকৃতি স্বভাব সমাজসেবা তো যার ভেক্ বাঁধা হয়ে গেছে আর ভেক্ নিয়েছে সে যখন ঘরের জন্য বিশেষ কিছু না করে বাইরের লোকের সেবা করে বেড়ায় তাকে বলে। আর দ্বিতীয়তঃ নিজের আন্তরিক ভাব ; এই ভাব তো নিজের মধ্যে আসতেই থাকে। কারোর উপর দয়া হয়, কারোর উপর মমত্ব থাকে আর এসব তো নিজের প্রকৃতিতে নিয়েই আসে। কিন্তু শেষ অবধি এ সবই প্রকৃতি ধর্ম-ই। ওই সমাজসেবাও কিন্তু প্রকৃতি-ধর্ম ; একে প্রকৃতি স্বভাব এইজন্যে বলে যে কারোর স্বভাব এরকম, অন্যের স্বভাব অন্যরকম। কারোর দুঃখ দেওয়ার স্বভাব হয়, কারোর সুখ দেওয়ার স্বভাব হয়। এই দুই ধরণের স্বভাবকেই প্রকৃতি-স্বভাব বলে, আত্ম-স্বভাব নয়। প্রকৃতিতে যেরকম জিনিষ ভরে এনেছে সেরকম জিনিষ বেরোচ্ছে। সেবা – কুসেবা, প্রাকৃত স্বভাব ! তুমি যে এই সেবা করছো তা প্রকৃতি স্বভাব আর একজন মানুষ

Loading...

Page Navigation
1 ... 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48