________________
শ্ৰীপাৰ্শ্বনাথ
প্রাচীরের গাত্রের একটি ছবি দেখিয়া তাঁহারা তাহার সৌন্দর্য্যে ও ভাবের গভীরতায় আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলেন । ছবিটীতে “শ্রীনেমিনাথজী”র বৈরাগ্য গ্রহণের দৃশ্য দেখান হইয়াছিল ।
১৩
ছবিটাকে দেখিয়া পার্শ্বকুমার জীবনের অসারতা সম্বন্ধে ভাবিতে লাগিলেন । তিনি ভাবিলেন—“সুখে জীবন যাপন করাই জীবনের মূল ও চরম উদ্দেশ্য নহে। জীবনের চরম উদ্দেশ্য নিজের প্রকৃত রূপকে চিনিয়া তাহাকে সু-আচরণে আবৃত করা ৷ ” ক্রমে পার্শ্বকুমারের সাংসারিক বিষয়-ঐশ্বর্য্যের প্রতি ঘৃণা জন্মিয়া গেল । উচ্চ ধাৰ্ম্মিক জীবন যাপন করাই তাঁহার একমাত্র লক্ষ্য হইয়া গেল ।
এই ইচ্ছার নামই বৈরাগ্য ।
পার্শ্বকুমার ছিলেন দুঃখীর আশ্রয়দাতা, পতিতের উদ্ধারকর্তা। সৰ্ব্বদাই তিনি চিন্তা করিতেন—শরীর মন বা কর্ম্ম দ্বারা কাহারও কোনও প্রকার অনিষ্ট না হয়।
ক্রমেই তাঁহার বৈরাগ্য গ্রহণের ইচ্ছা বলবতী হইয়া উঠিল 1
অবশেষে, তিনি বৈরাগ্যের বাহ্য চিহ্নস্বরূপ এক বৎসর পর্য্যন্ত প্রতিদিন ১০৮০০০০০ স্বর্ণমুদ্রা দান করিতে লাগিলেন।
অবশেষে তিনি তিনটী উপবাস করিলেন এবং পিতা মাতা সকলের সহিত সম্বন্ধ ত্যাগ করিয়া বিরাট বিশ্বজগতের সহিত সম্বন্ধ স্থাপিত করিলেন ; অর্থাৎ তিনি সাধু হইলেন ।
Shree Sudharmaswami Gyanbhandar-Umara, Surat
www.umaragyanbhandar.com