________________
সেবা – পরােপকার
অবস্থা ছিল। তাই মায়ের সেবা করতে পেরেছিলাম। বাবাকে কাঁধে করে নিয়ে গিয়েছিলাম, তাই সেবা হয়েছিল। ফের মনে হলাে, এরকম তাে কতজন কত জন্মে বাবা হয়েছেন, এখন কি করবাে ? উত্তর এলাে, ‘যিনি আছেন তাঁর সেবা করাে।' যিনি চলে গেছেন তিনি গেছেন। কিন্তু বর্তমানে যিনি আছেন তাঁর সেবা করাে আর না থাকলে তার চিন্তা করাে না। সব-ই অনেক হয়ে গেছে। ভুলে গেলে সেখান থেকে আবার গােনাে। মা-বাবার সেবা করলে তাে প্রত্যক্ষ, নগদ পাওয়া যায়। ভগবানকে দেখা যায়না, এঁদের তাে দেখা যায়। ভগবানকে কোথায় দেখা যায় ? আর মাবাবাকে তাে দেখা যায় !
সব থেকে প্রয়ােজন, বৃদ্ধদের সেবার! এখন যদি কেউ সবথেকে বেশী দুঃখী তাে তাদের মধ্যে বাড়ির ষাট-পঁয়ষট্টি বছরের ব্যক্তিরা খুব দুঃখী থাকেন আজকাল। কিন্তু এরা কাকে বলবেন ? ছেলেরা শােনেনা। পুরােনাে যুগ আর নতুন যুগের মধ্যে অনেক পার্থক্য হয়ে গেছে। বৃদ্ধেরা পুরােনাে সময়কে ছাড়তে পারে না ; কষ্ট পায়, তবুও ছাড়তে পারে না।
প্রশ্নকর্তা : পঁয়ষট্টি বছরে প্রত্যেকেরই তাে এই অবস্থাই হয়!
দাদাশ্রী: হ্যা, এমনই অবস্থা। এদের তাে এমনই অবস্থা। সেইজন্যে বাস্তবে এই সময়ে কি করা প্রয়ােজন ? তাই আমি ভেবেছিলাম যে কোনও জায়গায় যদি এরকম বৃদ্ধদের থাকার আস্তানা করা যায় তাে খুব ভালাে হয়। আমি বলেছিলাম, এরকম যদি কিছু করা যায় তাে আগে আমি এই জ্ঞান দিয়ে দেব। পরে এদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা এখানে পাবলিককে বা অন্য সামাজিক সংস্থাকে দিয়ে দিলেও চলবে। কিন্তু এই জ্ঞান যদি পায় আর দর্শন করে তাে তাতেও কাজ চলে। এই জ্ঞান পেলে তবেই শান্তি পাবে বেচারারা, নয়তাে শান্তি কিসের আধারে থাকবে ? তােমার কি মনে হয় ?
প্রশ্নকর্তা : হ্যা, ঠিক আছে। দাদাশ্রী : পছন্দ হওয়ার মত কথা নয় কি ?