________________
সেবা – পরােপকার
দোকান দেওয়া। তুমি দুঃখের দোকান খুলবে না। সুখের দোকান থেকে যার দরকার সে সুখ নিয়ে যাবে। আর কেউ দুঃখ দিতে এলে বলবে, ও হাে হাে, এখনও আমার বাকী আছে, আনাে, আনাে। একে তুমি পাশে সরিয়ে রাখবে। অর্থাৎ দুঃখ দিতে এলে তা নিয়ে নেবে। তােমার হিসাব বাকী আছে বলেই তাে দিতে আসবে ? নয়তাে আমাকে তাে কেউ দুঃখ দিতে আসে না।
সেইজন্যে এমন সুখের দোকান খােলাে যে ব্যস, সবাইকে সুখ দেবে। কাউকে দুঃখ দেবে না। আর যে দুঃখ দেয় তাকে কোনদিন কেউ ছুরি মেরে যায় না কি ? এ সুযােগের অপেক্ষায় থাকে। এই যে শত্রুতা করছে সে এমনি এমনি শত্রুতা করছে না ; দুঃখের বদলা নিচ্ছে।
সেবা করলে সেবা পায়! এই জগতে সর্বপ্রথম তাে বাবা-মায়ের সেবা করা কর্তব্য। মাবাবার সেবা করলে কখনও শান্তি যাবে না। কিন্তু আজকাল খাঁটি হৃদয়ে বাবা-মা’র সেবা কেউ করে না। ত্রিশ বছরের হলে তাে গুরু (পত্নী) আসে। সে বলে, “আমাকে নতুনঘরে নিয়ে যাও।” গুরু দেখেছাে তুমি ? পঁচিশ-ত্রিশ বছরে ‘গুরু’ পেয়ে যায়, আর ‘গুরু’ পেয়ে যায় অর্থাৎ বদলে যায়। গুরু বলে যে মা-কে তুমি চেনাে না। এ একবারে কানে নেয় না। কিন্তু দু'-তিনবার বলার পরে মােড় ঘুরে যায়।
| নয়তাে, এই জগৎ এমন যে মা-বাবার শুদ্ধ সেবা করলে তার অশান্তি হয় না। এই জগৎ কিছু ফেলে দেওয়ার মত নয়। লােকেরা বলে ছেলেদেরই দোষ, ছেলেরা মা-বাবার সেবা করে না। এতে মা-বাবার কি। দোষ ? তাতে আমি বলি এরা মা-বাবার সেবা করে নি, তাই নিজেরা পাচ্ছে না। অর্থাৎ এই পরম্পরাই ভুল। এখন নতুনভাবে পরম্পরা তৈরী করা হলে ভালাে হয়। সেইজন্যে আমি প্রত্যেক ঘরে ঘরে এটা তৈরী করছি। সমস্ত ছেলেরা অলরাইট হয়ে গেছে। মা-বাবাও অলরাইট আর ছেলেরাও অলরাইট !