________________
সেবা – পরােপকার
| ১৮
কু-সেবা করছে তাও কিন্তু প্রকৃতি স্বভাব। এতে তােমারও পুরুষাৰ্থ নেই আর ওর-ও পুরুষার্থ নেই; কিন্তু মনে করছে যে আমি করছি। এখন ‘আমি করছি’– এটাই ভ্রান্তি। এখানে এই জ্ঞান পাওয়ার পরেও তুমি সেবা তাে করবে কারণ প্রকৃতিই এরকম নিয়ে এসেছে কিন্তু এই সেবা পরে শুদ্ধ সেবা হবে ; এখন শুভ সেবা হচ্ছে। শুভ সেবা অর্থাৎ বন্ধনে বাঁধার সেবা; সােনার বেড়ি তাও কিন্তু বন্ধন-ই! এই জ্ঞানের পরে অন্য মানুষের যাই হােক না কেন, তােমার কিন্তু দুঃখ হবে না আর তারও দুঃখ দূর হবে; কারণ তােমার ওর উপর করুণা থাকবে। এখন তাে তােমার দয়া হয় যে বেচারা কি দুঃখ পাচ্ছে! কত দুঃখ হচ্ছে ? এই ভেবে তােমার দয়া হয়। এই দয়া সবসময় তােমাকে দুঃখ দেবে। যেখানে দয়া সেখানে অহংকার থাকেই। দয়ার ভাব ছাড়া প্রকৃতি সেবা করেই না। আর এই জ্ঞান-এর পরে তােমার করুণাভাব থাকবে।
সেবা ভাবের ফল ভৌতিক সুখ আর কু-সেবা ভাবের ফল ভৌতিক দুঃখ। সেবা ভাব থেকে নিজের ‘স্ব’-কে জানা যায় না। কিন্তু যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত ‘স্ব’-কে না পাচ্ছাে ততক্ষণ পর্যন্ত পরােপকারী স্বভাব রখো।
খাঁটি সমাজসেবক! তুমি কাকে সাহায্য করাে ? প্রশ্নকর্তা : সমাজের সেবায় অনেকটা সময় ব্যয় করি।
দাদাশ্রী : সমাজসেবা তাে অনেক প্রকারের হয়। যে সমাজসেবায় কিঞ্চিৎমাত্রও ‘আমি সমাজসেবক এই ভান থাকে না, সেই সমাজসেবাই খাঁটি।
প্রশ্নকর্তা; এ কথা তাে ঠিক।
দাদাশ্রী : নয়তাে সমাজসেবক তাে যত্র-তত্র, সর্বত্র দু-চারজন করে। থাকেই। আমি সমাজসেবক বলে সাদা টুপি পরে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু ‘আমি সমাজসেবক’ এই ভানযখন ভুলে যায় তখনই সে খাটি সমাজসেবক হয়।