________________
সেবা – পরোপকার
বললো, ‘আমি সমাজসেবা করি'। আমি বললাম, “কি সমাজসেবা তুমি করো ?' তাতে বললো, “আমি ধনীদের কাছ থেকে এনে গরীবদের দিই।' আমি বললাম যে ‘দেওয়ার পরে খোঁজ নাও কি যে এরা কিভাবে তা খরচ করছে ?’ তাতে বললো “তা আমার দেখার কি দরকার ?' পরে ওকে বোঝাই যে ‘ভাই, আমি তোমাকে রাস্তা দেখাচ্ছি, সেইভাবে করো। ধনীদের কাছ থেকে পয়সা এনে তার থেকে একে একশো টাকার ঠেলা কিনে দাও । ওই যে ঠেলাগাড়ি পাওয়া যায় দু'চাকার, সেইরকম ঠেলা একশো-দেড়শো বা দু'শো টাকার কিনে দাও। এছাড়া পঞ্চাশ টাকা আলাদা দিয়ে বলো যে তুমি শাক-সব্জী কিনে এনে বিক্রি করো ; আমাকে রোজ সন্ধ্যায় তার থেকে মূলধনের টাকা ফেরৎ দেবে। লাভ তোমার আর ঠেলার দরুণ কিছু পয়সা রোজ ফেরৎ দেবে।' সে বললো, “খুব ভালো, খুব ভালো ৷ আপনি আবার সুরত আসার আগে পঞ্চাশ-একশো মানুষ জুটিয়ে আনবো।' এখন কিছু করো, এইসব গরীবদের ঠেলাগাড়ি-টাড়ি দাও। এদের কি কোনো বড় ব্যবসা করার প্রয়োজন আছে ? একটা ঠেলা দিয়ে দাও তো সন্ধ্যা পর্যন্ত কুড়ি টাকা রোজগার করে নেবে। তোমার কি মনে হচ্ছে ? ওদের এরকম দেওয়া হলে আমরা খাঁটি জৈন হলাম তো ? ধূপকাঠিও জ্বলতে জ্বলতে সুগন্ধ দিয়ে জ্বলে, নয় কি ? সমস্ত ঘর সুগন্ধে ভরে দিয়ে যায় না কি ? তো আমাদের থেকেও কি সুগন্ধ ছড়াবে না ?
১৫
এরকম কেন হয় আমার ? আমি তো পঁচিশ-ত্রিশ বছর বয়সেও অহংকার করতাম। তাও আবার বিচিত্র ধরণের অহংকার করতাম। আমার সাথে কারোর পরিচয় হলো আর তাতে যদি এর কোনো লাভ না হয় তো আমার সাথে পরিচয় হওয়াটা ভুল হয়েছে। সেইজন্যে প্রত্যেক মানুষ আমার কাছ থেকে লাভ পেয়েছে। আমার সাথে পরিচয় হলো অথচ কোনো লাভ পেল না, তো সেই পরিচয় কোন কাজের ? আমগাছ কি বলে ? আমের সময়ে আমার কাছে যে আসে সে যদি কোনো লাভ না পায় তো আমি আমগাছই নই। ভালো তা সে ছোট–ই হোক না কেন, তোমার