________________
সেবা – পরোপকার
এখন তো নতুন করে লাইন বাঁধছো, সেইজন্যে পূর্বের রি-অ্যাকশন তো আসবেই। এতদিন পর্যন্ত যা উল্টো করেছো তার ফল আসবে না কি ?
১২
শেষে উপকার নিজের উপরে করবে!
কারোর উপকার করেছো, কাউকে লাভ পাইয়ে দিয়েছো, কারোর জন্যে বেঁচেছো তো সবসময় তার লাভ তুমি পাবে; কিন্তু এ ভৌতিক লাভ, এর ভৌতিক ফল পাবে।
প্রশ্নকর্তা : কারোর উপকার করার বদলে যদি নিজের উপকার করে তো ?
দাদাশ্রী : ব্যস, নিজের উপকার করার জন্যেই এই সমস্ত করতে হবে। যে নিজের উপকার করে তার তো কল্যাণ হয়, কিন্তু এর জন্যে নিজেকে (নিজের আত্মাকে) জানতে হয় ; ততদিন পর্য্যন্ত অন্যের উপকার করবে কিন্তু এর ভৌতিক ফল পাবে। নিজেকে জানার জন্যে ‘আমি কে’ তা জানতে হবে। বাস্তবে তুমি স্বয়ং শুদ্ধাত্মা কিন্তু তুমি তো এতদিন পৰ্য্যন্ত ‘আমি চন্দুভাই' এটুকুই জেনেছো, না কি অন্য কিছু জেনেছো ? এই ‘চন্দুভাই’–কেই ‘আমি' বলেছো। তারপর এর স্বামী, এর মামা, এর কাকা এইসব পর্যায় চলেছে! এই রকমই হয়েছে কিনা ? এই জ্ঞান-ই তো তোমার কাছে আছে ? এর থেকে আগে তো যাও নি ?
মানব সেবা, সামাজিক ধর্ম !
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু ব্যবহারে তো এরকম হয় যে দয়ার ভাব থাকে, সেবা থাকে, কারোর প্রতি এমন মনোভাব থাকে যে এর জন্যে কিছু করি, কাউকে চাকরি দেওয়ানো, অসুস্থকে হাসপাতালে ভর্তি করা – অর্থাৎ এই সমস্ত ক্রিয়া তো এক ধরণের ব্যবহার ধর্মই হলো ।
দাদাশ্রী : এ সমস্তকে তো সাধারন কর্তব্য বলে।
প্রশ্নকর্তা : তাহলে মানবসেবা এক ধরণের ব্যবহার হলো, এরকমই বুঝবো তো ? এ তো ব্যবহার ধর্মই হলো ?