________________
এ ‘
ডিস্টার্জ। ডিস্টার্জ’ দোষ অর্থাৎ এই দোষ চার্জ হওয়া দোষ নয়। তাই এত খারাপ ফল দেয় না।
প্রতিষ্ঠা করলেই কষায় উৎপন্ন হয় এ সমস্ত তুমি চালাও না, ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ প্রভৃতি কয় চালায়। “কযায়” - এরই রাজত্ব চলছে। “আমি কে”-এর ধারনা হলে তবে কয় যাবে। ক্রোধ হলে পশ্চাতাপ হয়, কিন্তু ভগবানের বলা প্রতিক্ৰমণ করতে না জানাে তাে কি হবে? প্রতিক্ৰমণ করতে জানলে মুক্তি পাবে।
এই ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ-এর সৃষ্টি কতদিন থাকবে? ‘আমি চান্দুলাল আর আমি এইরকমই এই দৃঢ়বিশ্বাস যতদিন আছে ততদিনই থাকবে। যতদিন আমি প্রতিষ্ঠা করেছি যে আমি চালাল’, এই সমস্ত লােকজন আমার প্রতিষ্ঠা করেছে আর আমিও তা মেনে নিয়েছি যে আমি চান্দুলাল, ততদিন এই ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ ভিতরে থাকবে।
| নিজের প্রতিষ্ঠা তখনই সমাপ্ত হবে যখন ‘আমি শুদ্ধাত্মা’ এই বােধ আসবে। অর্থাৎ স্বয়ং যখন স্ব-স্বরূপে যাবে তখন প্রতিষ্ঠা চূর্ণ হবে। তখন ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ যাবে, তা নইলে যাবে না। মারতে থাকলেও যাবে না বরং বাড়তে থাকবে। একজনকে মারলে দ্বিতীয়জন বাড়বে আর দ্বিতীয়জন-কে মারাে তাে তৃতীয়জন বাড়বে।
যেখানে ক্রোধ দুর্বল, সেখানে মান সবল | এক মহারাজ বলেন, আমি ক্রোধকে চাপা দিয়ে দিয়ে নির্মূল করেছি। আমি বললাম, তার পরিণাম স্বরূপ এই ‘মান’ নামের মহিষ বেশী তাগড়া হয়েছে। মান তাগড়া হতে থাকবে, কারণ মায়ার এই পুত্র মরবে এরকম নয়। এর উপায় করাে তাে যাবে, নয়তাে যাওয়ার পাত্র এরা নয়। এরা মায়ার সন্তান। ওই মান নামক মােষ এত তাগড়া হয়েছে, আমি ক্রোধকে দাবিয়ে দিয়েছি, আমি ক্রোধকে দাবিয়ে দিয়েছি। ফের ও তাগড়া হয়েছে। এর চেয়ে তাে চারজনই সমান ছিল, সেটাই ঠিক ছিল।
| [ ২৯ ]