________________
ক্রোধ আর মায়া হল রক্ষক
| ক্রোধ আর মায়া, এরা তাে রক্ষক। এরা তাে লােভ আর মানের রক্ষক। লােভ-এর যথার্থ রক্ষক মায়া আর মান-এর যথার্থ রক্ষক ক্রোধ। আবার মান-এর জন্যেও মায়ার কম-বেশি উপযােগ হয়, কপট করে। কপট করেও মান প্রাপ্ত করে, লােকে এরকম করে কি?
আর ক্রোধ করে লােভ করে নেয়। লােভী ক্রোধী হয় না আর যদি ক্রোধ করে তাে বুঝতে হবে যে ওর লােভে কোন বাধা এসেছে, সেইজন্যে ক্রোধ করছে। নয়তাে লােভী তাে, যদি কেউ ওকে গালাগালিও দেয় তবু বলবে, “ও যতই শােরগােল করুক না কেন, আমি তাে আমার টাকা পেয়ে গেছি। লােভী এরকমই হয় কারণ কপট সবকিছুর রক্ষণ তাে করবেই। কপট মানে মায়া আর ক্রোধের রক্ষক সব। | ক্রোধ তাে নিজের মান-এর উপর যখন আঁচ আসে তখন ক্রোধ করে। নিজের মান ভঙ্গ হয়, সেখানে।
ক্রোধ তাে সরল। সরলের প্রথমে নাশ হয়। ক্রোধ তাে গােলা-বারুদ, আর যেখানে গােলা-বারুদ সেখানে তাে সৈন্য লড়বেই। ক্রোধ গেলে আর সৈন্য কি জন্যে লড়বে? পরে তাে সখা-সখী সব পালিয়ে যাবে। কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে না।
ক্রোধ-এর স্বরূপ
ক্রোধ হল উগ্র পরমাণু। তুবড়ীর মধ্যে বারুদ ভরা থাকে আর জ্বললে আগুনের ফুলকি বার হতে থাকে। যখন ভিতরের বারুদ শেষ হয়ে যায়, তখন তুবড়ী নিজেই নিভে যায়। এই রকমই ক্রোধেরও হয়। ক্রোধ উগ্র পরমাণু, আর যখণ ‘ব্যবস্থিত’-এর নিয়ম অনুসারে ফাটে তখন সবদিক থেকে জ্বলতে থাকে। উগ্রতা আছে, তাকে ক্রোধ বলে না, যে ক্রোধে তন্ত আছে তাকেই ক্রোধ বলে। ক্রোধ তাে তখনই বলবে যখন ভিতরে জ্বালা থাকে। জ্বালা আছে আর তার ফুকি বেরােতে থাকে আর অন্যের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। তাকে কুড়ন (যে নিয়ে পীড়িত আর অন্যগুলােকেও
[ ৩০ ]