________________
এক ভাইসাহেব ছিল, আমার পরিচিত। সে আমাকে প্রায়ই বলতো, ‘সাহেব, একবার আমার এখানে পদার্পণ করুন। রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। একবার আমি ওখান দিয়ে যাচ্ছিলাম তো ওর সাথে দেখা হয়ে গেল আর বললো, “কিছুক্ষণের জন্যে আমার ঘরে চলুন।' তো আমি ওর ঘরে গেলাম। এখানে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আরে, দুটো রুমে তোর কুলিয়ে যায়?' তো ও বললো, “আমাকে তো কারিগর বলে না!' এ তো আমার সময়ের, ভাল সময়ের কথা বলছি। এখন তো একটা রুমেও থাকতে হয়। কিন্তু ভাল সময়েও বেচারার দুটো রুম-ই ছিল। তখন আমি আবার প্রশ্ন করলাম, ‘স্ত্রী তোমাকে বিরক্ত করে না কি? তাতে বললো যে, ‘স্ত্রী-র ক্রোধ হয় কিন্তু আমি ক্রোধ করি না।' আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এরকম কেন?' ও বললো, “তাহলে ও যদি ক্রোধ করে আর আমিও ক্রোধ করি তো এই দুটো রূমে আমি কোথায় শুই আর ও কোথায় শোয়?!' ও ওদিকে মুখ করে শুয়ে পড়ে আর আমি এদিকে মুখ করে শুয়ে পড়ি, এই অবস্থায় তো আমি সকালে ভাল চা-ও পাব না। ও-ই আমাকে সুখ দেয়, ওর কারণেই আমার সুখ। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘স্ত্রী যদি ক্রোধ করে তো?' তখন বললো, ‘ওকে মানিয়ে নিই। বন্ধু, যেতে দাও না, আমার অবস্থা আমিই জানি। এ রকম করে মানিয়ে নিই। কিন্তু ওকে খুশী রাখি। বাইরে মারপীট করে আসি কিন্তু ঘরে ওর সাথে মারপীট করি না।' আর কিছু লোক তো বাইরে মার খেয়ে এসে ঘরে মারপীট করে।
এ তো সারাক্ষণ ক্রোধ করে। গরু-মোষও ভাল যে ক্রোধ করে না। জীবনে একটু শান্তি তো থাকা চাই না! দুর্বল হওয়া উচিৎ নয়। এ তো সব সময় ক্রোধ করে। তুমি গাড়ীতে করে এসেছো না? গাড়ী যদি সারা রাস্তায় ক্রোধ করতে থাকে তো কি হবে?
প্রশ্নকর্তা ঃ তো এখানে এসে পৌছাতে পারতাম না।
দাদাশ্রী ঃ তো যদি তুমি এমন ক্রোধ করো তো ওর গাড়ী কিরকম চলবে? তুমি ক্রোধ করো না তো?
প্রশ্নকর্তা : কখনও কখনও হয়ে যায়।
[ 24 ]